সংক্ষিপ্ত
গোল্ডি ব্রারের আসল নাম সতীন্দরজিৎ সিং। জন্ম ১৯৯৪ সালে পাঞ্জাবের মুক্তসার সাহেব জেলায়। গোল্ডি ব্রারের বাবা পঞ্জাব পুলিশের একজন অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর।
পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গোল্ডি ব্রারকে খুন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আমেরিকায় তার ওপর প্রাণঘাতী গুলি চলে। গোল্ডি হত্যার দায় নিয়েছে ডাল্লা-লখবির গ্যাং।
ব্রারের বাবা পঞ্জাব পুলিশে ছিলেন
গোল্ডি ব্রারের আসল নাম সতীন্দরজিৎ সিং। জন্ম ১৯৯৪ সালে পাঞ্জাবের মুক্তসার সাহেব জেলায়। গোল্ডি ব্রারের বাবা পঞ্জাব পুলিশের একজন অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর।
পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর মিডিয়ায় তার নাম আলোচনায় উঠে আসে। তবে এর আগেও সে অনেক অপরাধ করেছে বলে খবর। চণ্ডীগড়ে তার কাকার ছেলে গুরলাল ব্রার খুনের পর অপরাধ জগতে প্রবেশ করে গোল্ডি ব্রার। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিইউ) ছাত্র নেতা গুরলাল ব্রারকে ১১ অক্টোবর ২০২০ সালের রাতে চণ্ডীগড়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া ফেজ ১-এ অবস্থিত একটি ক্লাবের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গোল্ডির কাকার ছেলে গুরলাল লরেন্সের ঘনিষ্ঠ ছিল
গুরলাল ব্রার ছিল লরেন্স বিষ্ণয়ের সবচেয়ে কাছের। গুরলাল ব্রার হত্যার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লরেন্স গ্যাং লিখেছিল, এখন নতুন যুদ্ধ শুরু হয়েছে, রাস্তায় রক্ত শুকাবে না।
এদিকে স্টাডি ভিসায় কানাডায় গিয়েছিল গোল্ডি ব্রার। গোল্ডি কানাডা থেকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং তার দোসরদের দিয়ে অনেক ঘটনা ঘটানো হয়। এর মধ্যে একটি ঘটনা ছিল গুরলাল সিং হত্যা। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি গুরলাল সিংকে পঞ্জাবের ফরিদকোটে গুলি করে হত্যা করা হয়। গোল্ডি ব্রার তার ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুব কংগ্রেস নেতাকে খুন করে।
২০২২ সালের মে মাসে মুসওয়ালাকে খুন করা হয়েছিল
২৯ মে ২০২২-এ, পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে পাঞ্জাবের মানসা জেলার জাওহারকে গ্রামের কাছে গুলি করে হত্যা করা হয়। গোল্ডি ব্রার এই হত্যাকাণ্ডের দায় নেন। খুনের কারণও জানায় গোল্ডি। গোল্ডির মতে, মোহালিতে মিদুখেদা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আশ্রয় দিয়েছিল মুসেওয়ালার ম্যানেজার। পরে মুসওয়ালা তার ম্যানেজারকে সাহায্য করেন। এই শত্রুতার কারণে লরেন্স গ্যাং মুসওয়ালাকে হত্যা করে। গোল্ডি ব্রার পাঞ্জাবের মুক্তসার জেলার মালোতে রঞ্জিত সিং ওরফে রানা সিধু হত্যার সাথেও জড়িত ছিল। খুন দিয়ে শুরু হওয়া অপরাধের এই ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।