সংক্ষিপ্ত
- ২০২০-র কেন্দ্রীয় বাজেটে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব
- মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স ছিল ১৮ বছর
- আগামী দিনে এই বয়সসীমা আরও বাড়াতে চায় কেন্দ্র
- এই বিষয়ে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী
শনিবার ২০২০-র কেন্দ্রীয় বাজেটে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বাজেট পেশ করার সময় জানান, ১৯৭৮ পর্যন্ত মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স ছিল ১৫ বছর। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১৮ বছর। আগামী দিনে এই বয়সসীমা আরও বাড়াতে চায় কেন্দ্র। এই বিষয়ে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
আরও পড়ুন- জামিনে ছাড়া পেয়ে ছ' বছরের ভাগ্নীকে ধর্ষণ- খুন, গ্রেফতার মামা
বর্তমানে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের ন্যূনতম বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ২১ বছর। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই ঘোষণা করেছে বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেদের ন্যূনতম বয়স কমানো হবে। এবার মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়াতে চায় কেন্দ্র, এতে তাদের স্নাতক শেষ করার জন্য আরও উত্সাহ বৃদ্ধি পাবে। এই সিদ্ধান্তে কী লাভ হবে, তা নিয়ে যদিও প্রশ্ন উঠছে নানান রাজনৈতিক মহল থেকে। অন্যদিকে দেশ জুড়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে ধর্ষণ-সহ নারী নির্যাতনের মতো নানান ঘটনা। সেই বিষয়ে কোন সিন্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, প্রশ্ন উঠেছে এই বিষয়েও।
শনিবারের বাজেটে মহিলাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে ২৮,৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প সফল এবং এতে উপকৃত হয়েছে মেয়েরা। স্কুলে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শতকরা হিসাবে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর হার বেশি। তাই তাদের সুবিধার কথা ভেবে বিয়ের বয়স বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও দুর্দান্ত ফলাফল পেয়েছে এবং শিক্ষার সর্বস্তরের মেয়েদের মোট ভর্তির অনুপাত এখন ছেলেদের চেয়ে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন- ২০ বছরে ৪০ বার বদলি শুধুমাত্র গাছ লাগানোর জন্য, তবু দমানো যায়নি যোগানাথনকে
ইউনিসেফের সিনিয়র উপদেষ্টা মৃদুলা ফাদকে এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “ মেয়েদের পুষ্টি ও শিক্ষা প্রকল্পগুলিতে বেশি বাজেট দেওয়া খুব ভালো প্রস্তাব। তবে, সঠিক ভাবে এই কাজ সফল করার জন্য মুদ্রাস্ফীতি এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটটিক বিষয়গুলিতেও ব্যয় ও বিবেচনা করতে হবে। দেশে মেয়েদের অপুষ্টি একটি মারাত্মক সমস্যা। মারাত্মকভাবে অপুষ্ট শিশুদের জন্য পুষ্টিকর থেরাপিউটিক খাদ্যের প্রয়োজন। এছাড়াও, স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন প্রদান করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার এবং টিকাদানের বিষয়ে সবার জন্য সু-পরিকল্পনাযুক্ত স্কিমেরও প্রয়োজন।''