সংক্ষিপ্ত
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কনের ঠিক পাশেই বসে রয়েছেন হবু বর। বিয়ের পোশাক দু'জনের পরনেই রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে বিয়ে এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি। আর সেই যুবক নিজেকে সরকারী চাকুরেজীবী বলে পরিচয় দিয়েছেন। তারপরও পণের দাবি করেছেন তিনি।
পণ (Dowry) দেওয়া এবং নেওয়া এই দুই জিনিসই আইনের চোখে অপরাধ। তবে এই পণ প্রথা (Dowry System) আজকের বিষয় নয়। সেই কয়েক প্রাচীন কাল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। এখনও বেশ কিছু রাজ্যে রমরমিয়ে চলে এই প্রথা। এর বিরুদ্ধে যে কোনও আইন রয়েছে তাও জানা নেই অনেকেরই। বরং পণ ছাড়াও যে বিয়ে হয় তা জানা নেই অনেকেরই। সেখানে পাত্রী (Bride) বা পাত্র (Groom) মানুষ হিসেবে কেমন তা আসল নয়, আসল হল কোন পাত্রীর পরিবার কত বেশি পণ দিতে পারবেন। সেখানেই পাত্রের বিয়ে দেওয়া হবে। আর এমনই পণের একটা ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কনের ঠিক পাশেই বসে রয়েছেন হবু বর। বিয়ের (Marriage) পোশাক দু'জনের পরনেই রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে বিয়ে এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি। আর সেই যুবক নিজেকে সরকারী চাকুরেজীবী (Govt Job) বলে পরিচয় দিয়েছেন। তারপরও পণের দাবি করেছেন তিনি। শুধু দাবি নয়, পণ দিতে না পারলে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আধুনিক ভারতেও কিছু মানুষের এমন মানসিকতা দেখে অবাক নেটিজেনদের অনেকেই।
ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'পণ নেওয়া যে দোষের কিছু নয়। কারও জানা যায় আর কারও যায় না। আসলে এরা যদি সব ঠিক করে দিয়ে দিত তাহলে আর কেউ জানতে পারত না। কিন্তু, দেয়নি বলেই জানতে পারা যাচ্ছে।' নির্ধারিত পণের জিনিস না পেয়ে বিয়ে করতেই অস্বীকার করেছেন ওই যুবক। বিয়ের পরে বাকি জিনিসগুলি যৌতুক হিসেবে তুলে দেওয়া হবে জানালেও তা মানতে নারাজ তিনি। পণ হিসেবে যা চাওয়া হয়েছিল তা বিয়ের আগেই দিতে হবে বলে দাবি করেন। কীভাবে তা দেওয়া হবে তা তিনি জানেন না, শুধু জানেন পণ না পেলে বিয়ে করবেন না। এমনকী, চাহিদা পূরণ না হলে ফের বরযাত্রী-সহ বাড়ি চলে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন- বড়সড় সুখবর, ইউক্রেনের সুমি থেকে সরিয়ে নেওয়া হল সব ভারতীয়দের
সোনার চেন, আংটি না পেলে বিয়ে করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলে বারবার ভিডিওটিতে বলতে থাকেন তিনি। শেষে, অনেক বোঝানোর পর বাবার সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলেন। আর বাবা বললে তবেই বিয়ে করবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে, এই ভিডিও সামনে আসতেই স্বাভাবিকভাবে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছেন অভিযুক্ত ওই যুবক।
উল্লেখ্য, পণ নেওয়াকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভারতীয় ফৌজদারি আইনে সংশোধন করা হয়। পণের ক্ষেত্রে অভিযুক্তর ন্যূনতম ৭ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে। কিন্তু, তারপরও হঁশ ফিরছে না সাধারণ মানুষের। চাহিদা মতো পণ দিতে না পারায় মৃত্যু হচ্ছে বহু যুবতীর। এত কিছুর পরও দেশের একাধিক জায়গায় এখনও রমরমিয়ে চলছে এই প্রথা।
আরও পড়ুন- ২ বছর পর উঠল নিষেধাজ্ঞা, মার্চ থেকেই শুরু আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা