সংক্ষিপ্ত
ট্রেনের টিকিটের দামের ৩গুণ ভাড় দাবি
দাবি করেছিল বিজেপি কর্মী
দিতে অস্বীকার করায় অভিবাসী শ্রমিককে মার
অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির
লকডাউনের পর থেকে সামনে আসছিল অভিবাসী শ্রমিকদের সমস্যা। সময় যত যাচ্ছিল ততই প্রকট হচ্ছে তাঁদের করুণ অবস্থা। সকালেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া শ্রমিকদের পিষে দিয়েছিল ট্রেন। এবার সামনে এল মোদী রাজ্য গুজরাতে শ্রমিক নিপীড়নের করুণ চিত্র। বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত রাজেশ বর্মার হাতে মার খেয়ে রক্তাক্ত হলেন ঝাড়খণ্ডের এক অভিবাসী শ্রমিক।
ঘটনার সূত্রপাত ট্রেনের টিকিটকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ বিজেপি কর্মী রাজেশ ও তাঁর সহযোগীরা সুরাতে বসবাসরত অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে ট্রেনের ট্রেনের টিকিটের তিন গুণ দাম বেশি নিচ্ছিলেন। কাজ হারিয়ে ৪০ দিনেরও বেশি সময় ঘরে বসে থাকা অভিবাসী শ্রমিকরা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। অভিবাসী শ্রমিকের ওই দলের কাছ থেকে রাজেশ টিকিটের জন্য ১লক্ষেরও বেশি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু টিকিট আনতে গেলে তা দিতে অস্বীকার করে রাজেশ। প্রতিটা টিকিটের জন্য আবারও প্রত্যেকের কাছ থেকে আরও ২হাজার টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু তা দিতে অস্বাকীর করেন তাঁরা। তারপরই মারমুখী হয় রাজেশ। অভিযোগ কাঠের একটি তক্তা দিয়ে ব্যাপর মারধর করা হয় ঝাড়খণ্ডের অভিবাসী শ্রমিককে। তাঁর মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে শুরু করে। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন গুজরাতের এক কংগ্রেস নেতা।একই সঙ্গে তিনি লেখেন গুজরাতের সুরাতের এই ভিডিও ভয়ঙ্কর। যেখানে ১০০ অভিবাসী শ্রমিকদের থেকে বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিটের জন্য তিন গুণ বেশি দাম চাইছে বিজেপি কর্মী রাজেশ। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে বিক্ষোভ দেখায় অভিবাসী শ্রমিকরা। তখনই মারমুখী হয় রাজেশ।
কংগ্রেস নেতা সারা প্যাটেলের এই ভিডিও সামনে আসতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ে গুজরাত বিজেপি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, রাজেশ বিজেপি কর্মী নয়। কিন্তু একাধিক সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে রাজেশ নিজেকে বিজেপি কর্মী হিসেবেই দাবি করেছেন। দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর ছবিও রয়েছে। একই সঙ্গে বিজেপির অভিযোগ বদনাম করতেই ভুল তথ্য পেশ করা হচ্ছে কংগ্রেসের তরফ থেকে। তবে রাজেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মৃত্যুপুরী আমেরিকায় করোনা প্রাণ কাড়ল চিকিৎসক বাবা ও মেয়ে, জন্মসূত্রে তাঁরা ভারতীয় ...
এর আগেও একবার সামনে এসেছিল সুরাতের অভিবাসী শ্রমিকদের দূরবস্থার কথা সামনে এসেছিল। বাড়ি ফেরার জন্য একাধিকবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে অভিবাসী শ্রমিকরা।