সংক্ষিপ্ত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২ চিকিৎসকের মৃত্যু
সম্পর্কে তাঁরা বাবা ও মেয়ে
করোনা লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন তাঁরা
অন্যকে বাঁচাতে হবে। সুস্থ করে বাড়ি ফেরাতে হবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের। এই আদর্শকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছিলেন বাবা। আর বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন মেয়েও। বহু মানুষকে সুস্থ করে বাড়িও ফিরিয়েছিলেন। কিন্তু নিজেরা হাসপাতাল থেকে ফিরলেন কফিন বন্দি হয়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী রইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করেছেন নিউ জার্সির গভর্নর।
বেশ কয়েক দশক ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন সত্যেন্দ্র দেব খান্না। মিউনিসিপালিটি হাসপাতালেই কর্মরত ছিলেন। ৭৮ বছরের সত্যেন্দ্র দেব খান্না শল্য চিকিৎসক হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তাঁর মেয়ে ৪৩ বছরের প্রিয়া খান্না। মেডিসিন ও নেফ্রোলজিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে সত্যেন্দ্র খান্না ক্লারা মাস মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই হাসপাতালেই প্রায় ৩৫ বছর কাজ করেছিলেন তিনি। নিউ জার্সি থেকেই পড়ুশুনা করেছিলেন প্রিয়া। কোপার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ছিলেন তিনি। বাবার মত করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনিও ভর্তি ছিলেন ক্লারা মাস সেন্টারে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বাবা ও মেয়ের মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করে স্থানীয় গভর্নর সত্যেন্দ্রকে অগ্রণী চিকিৎসক হিসেবে বর্ননা করেছেন। এলাকার ল্যাপারোস্কোপিক সার্জেনদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন। আর প্রিয়া প্রসঙ্গে স্থানীয় গভর্নর বলেন নতুন প্রজন্মের উদীয়মান চিকিৎসক ছিলেন তিনি। বাবা ও মেয়ের মৃত্যুতে তিনি মর্মাহত বলেও জানিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন গভরনর।
আরও পড়ুনঃ অভিবাসী শ্রমিকদের মৃত্যুতে বেদনার্থ প্রধানমন্ত্রী, 'দেশ নির্মাতাদের' হত্যা বললেন রাহুল ..
সত্যেন্দ্রর কমলিশ স্ত্রী শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁদের আরও দুই সন্তানও চিকিৎসক। গোটা পরিবার নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অন্যের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া। কারন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করাল থাবা বসিয়েছে করোনা। রীতিমত মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছে গোটা দেশ। মৃতের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সেবাকেই পরম ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সত্যেন্দ্র আর প্রিয়া। পরিবারের দুই সদস্যকে হারিয়েও পিছিয়ে আসতে নারাজ বাকিরা।