বিধানসভা ভোটের আগেই বিধানসভা ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হলে গেল। এই অবস্থায় কোন পথে মুখ্যমন্ত্রীর ভবিষ্যৎ- তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথ নেবেন আগামিকাল অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর। 

একসঙ্গে গুজরাট মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ইস্তফা দিয়েছেন। আর সেই কারণে বিধানসভা ভোটের আগেই তৈরি হবে নতুন মন্ত্রিসভা। একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে মনোনীত মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, সকাল ১১:৩০ মিনিটে গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজি এই অনুষ্ঠানে রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে অন্তর্ভুক্ত মনোনীত মন্ত্রীদের পদ ও গোপনীয়তার শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।

তবে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে আপাতত ভূপেন্দ্র যাদবের গদি অক্ষত রয়েছে। এর আগে ৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিআর পাতিলকে সরিয়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর নেতা জগদীশ বিশ্বকর্মাকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছিল। দলের পর এবার মোদী-শাহের রাজ্যে প্রশাসনেও বড় বদল আনা হল। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল আর প্রশাসনে বড় বদল করেছিল মোদী আর শাহ।

মুখ্যমন্ত্রী মেয়র দক্ষেশ মাভানির উপস্থিতিতে সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মিউনিসিপ্যাল গ্রিন বন্ডের তালিকাভুক্তির জন্য মুম্বাই ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে ঘণ্টা বাজানোর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। এই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০ কোটি টাকার গ্রিন মিউনিসিপ্যাল বন্ড জারির মাধ্যমে সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সবুজ ও টেকসই উন্নয়নে নাগরিকদের অংশীদার করেছে। সুরাটের গ্রিন বন্ড আট গুণ বেশি সাবস্ক্রাইব হওয়াটা গ্রিন বন্ডে বিনিয়োগের প্রতি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহকেই তুলে ধরে। সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের দূরদর্শী পরিকল্পনা শহরের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০৭০ সালের মধ্যে নেট-জিরো কার্বন ফুটপ্রিন্ট অর্জনের লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাজ্য সরকার সবুজ বৃদ্ধি এবং সবুজ গতিশীলতার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত পরিবেশ এবং অর্থনীতির মধ্যে একটি প্রশংসনীয় ভারসাম্য বজায় রেখেছে। ভারতের G20 সভাপতিত্বে 'এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ' বার্তার সঙ্গে সদস্য দেশগুলোও প্রধানমন্ত্রীর টেকসই উন্নয়ন এবং সবুজ বৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ সালের মধ্যে 'বিকশিত ভারত' গড়ার সংকল্প নিয়েছেন। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য, গুজরাট 'বিকশিত গুজরাট @২০৪৭'-এর রোডম্যাপ সহ একাধিক উন্নয়নমূলক উদ্যোগ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই গণঅংশগ্রহণের একজন শক্তিশালী প্রবক্তা। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারই জনকল্যাণে মনোনিবেশ করে প্রশাসনকে কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।