সংক্ষিপ্ত
স্কিমটির মূল উদ্দেশ্য হল স্মার্ট ফোন কিনতে কৃষকদের উৎসাহিত করা। গুজরাট সরকার মনে করছে একজন কৃষকের হাতে স্মার্ট ফোন থাকলে তবেই সেই কৃষকের আয় বাড়বে।
কথায় আছে ভোট বড় বালাই। তিনটি কৃষি আইন (Farm Law) নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখানোর সাহস না পেলেই একটা চাপা অসন্তোষ ছিল গুজরাটের কৃষকদের (Gujarat Farmer) মধ্যে। যা অনুভব করতে পেরেছিল গুজরাটের রাজ্য সরকার। তাই কেন্দ্র তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করার পরেও কৃষকদের ক্ষোভ কমাতে মাঠে নামল গুজরাটের বিজেপি সরকার। কৃষকদের হাতে মুঠো ফোন বা মোবাইল ফোনদেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই জন্য রাজ্যের কৃষকদের ফোন কিনতে দেড় হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথাও ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। গুজরাট সরকারের কৃষি বিভাগের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে স্মার্টফোন (smartphone) কেনার জন্য রাজ্যের কৃষকদের ১৫০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এই স্কিমটির মূল উদ্দেশ্য হল স্মার্ট ফোন কিনতে কৃষকদের উৎসাহিত করা। গুজরাট সরকার মনে করছে একজন কৃষকের হাতে স্মার্ট ফোন থাকলে তবেই সেই কৃষকের আয় বাড়বে। কৃষি ক্ষেত্রে ডিজিটাল পরিষেবা প্রতিদিনই বাড়ছে। তাই রাজ্যের কৃষকরা যাতে সেই পরিষেবার সুবিধে নিতে পারেন তার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Mysterious Man: ৫০ বছর পরেও রহস্যময় নাম ডিবি কুপার, মার্কিন ইতিহাসে অমীমাংসিত প্লেন হাইজ্যাককাণ্ড
Farm Law Repealed: কৃষক আন্দোলন চলবে, এবার কৃষকদের খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে
কৃষি দফতর থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে কোনও কৃষকই এই প্রকল্পের সুবিধে পেতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট কৃষককে এমনই ফোন কিনতে হবে যে ফোনের ১০ শতাংশের দাম দেড় হাজার টাকা। পাশাপাশি জানান হয়েছে এই অনুদান শুধুমাত্র ফোন কেনার জন্যই দেওয়া হবে। ফোনের আনুষাঙ্গিক সামগ্রী যেমন ডাভাইস, ব্যাপআর ডিভাইস, ইয়ারফোন, চার্জার কিনতে পারবে না রাজ্যের কৃষকরা। যেসব কৃষকদের জমি রয়েছে তারাই এই প্রকল্পের সুবিধে পাবে। যৌথ চাষ যারা করে থাকে তাদের মাত্র এক জনকেই এই ফোন কেনার জন্য অনুদান দেওয়া হবে।
গুজরাট সরকারের অনুমান এক কৃষকের হাতে স্মার্টফোন থাকলে আবহাওয়ার পূর্বাবাস, কীটপতঙ্গের উপদ্রব, কৃষি বিভাগের বিভিন্ন স্কিম, আধুনিক খামারের কৌশল ও বিশেষজ্ঞের মতামতসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য পেতে পারবেন। স্মার্টফোনের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকরা রাজ্যের প্রতিটি স্কিমের জন্য অনলাইনে আবেদন জানাতেও পারবে। কৃষকরা প্রয়োজনে ক্যামেরা, ইমেল, টেক্সট, মাল্টিমিডিয়া পরিষেবা ও জিপিএস, ওয়েব ব্রাউজার, ইন্টারনেট সংযোগ নিতে চাষের কাজে লাভবান হতে পারবে।