সংক্ষিপ্ত
সোমবার ভোরেই স্বস্তির খবর দিয়েছে মৌসম ভবন। জানিয়েছে, ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে গুলাব। ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে।
রবিবার সন্ধের (Sunday Evening) দিকেই ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ (Odisha and Andhra Pradesh) উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় গুলাব (Cyclone Gulab)। উপকূলবর্তী এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব দেখিয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। তার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হয়েছে এই দুই রাজ্যে। তার সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়াও। রবিবার সন্ধেয় সেই তাণ্ডবলীলা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সোমবার ভোরেই স্বস্তির খবর দিয়েছে মৌসম ভবন। জানিয়েছে, ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে গুলাব (Cyclone Gulab)। ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে (deep depression) পরিণত হচ্ছে।
ভোরের দিকে টুইট করে মৌসম ভবনের (India Meteorological Department) তরফে জানানো হয়েছে, শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। শক্তি হারিয়ে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর থেকে তা ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে (depression) পরিণত হবে।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব, দিঘা পর্যটকশূন্য করার নির্দেশ প্রশাসনের
রবিবার সন্ধেয় স্থলভাগে প্রবেশের পরই তাণ্ডব লীলা শুরু করেছিল গুলাব। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় জলের তোড়ে এক ব্যক্তি ভেসে যান। অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে দুই মৎস্যজীবীর (Fisherman) মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- সাইক্লোন গুলাবের রক্তচক্ষু, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে সমুদ্র স্নানে, দিঘায় ফের নিখোঁজ দুই
ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ স্থলভাগে প্রবেশের পরই কোরাপুট ও মালকানগিরির দিকে এগিয়ে যায় গুলাব। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রবল বৃষ্টি হবে মালকানগিরি, কোরাপুট, গঞ্জাব, গজপতি, রায়গড় জেলায়। সোমবার বিকেল থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন- গুলাব আসার আগে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে তৎপর মেদিনীপুর পৌরসভা, বিচ্ছিন্ন ত্রিফলার সংযোগ
তিনি আরও জানিয়েছেন, গুলাব স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই প্রায় ৩৯ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৬০০ জন গর্ভবতীও ছিলেন। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে তেমন বেশি কিছু ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন। ঝড় আসার আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। আর তার জন্য আগাম প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল।