সংক্ষিপ্ত
৪০ বছর আগে মৃত স্বামী, তিন সন্তানের মা
তবু রেহাই পেলেন না ৭০ বছরের বৃদ্ধা
মধ্যপ্রদেশের বিদিশায় ধর্ষণ করে হত্যা করা করা হল তাঁকে
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও দুই মহিলার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ রয়েছে
৪০ বছর আগে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর স্বামীর। তিন সন্তানের মায়ের বয়স ঠেকেছে ৭০-এ। কিন্তু, প্রবীনা বলে রেহাই পেলেন না তিনি। বৃহস্পতিবার ভোরে অকথ্য যৌন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শুক্রবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত ২৬ বছরের এক দাগি অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছে সে। জানিয়েছে, মদ্যপ অবস্থাতেই সে এই কাজ করে ফেলেছে। তবে এর আগেও আরও দুই মহিলার শ্লিলতাহানি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এই নক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলায়। ধর্ষিতা-মৃতা মহিলা ও অভিযুক্ত দুজনেই অলিনজা নামে এক গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, প্রতি রাতেই ফসল পাহাড়া দিতে পারিবারিক খামারেই ঘুমাতেন ওই বৃদ্ধা মহিলা। সকালে বাড়ি এসে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে চা খেতেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে চা খাওয়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি বাড়ি না ফেরায় তাঁর জামাই খামারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন। সেখানে ওই মহিলাকে মৃতা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুন - জিডিপি নিয়ে ভারতকে খোঁটা দিল বাংলাদেশ, '৭১-এর পর নাকি 'অনুপ্রবেশ ঘটেইনি'
আরও পড়ুন - প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কুরুচিকর টুইট, আঙুল দেখিয়ে নতুন মামলায় ফাঁসলেন কামরা
আরও পড়ুিন - এআইমিম-এর সঙ্গে কি জোট গড়বে তৃণমূল, বাংলার রাজনীতিতে বোমা ফাটালেন ওয়াইসি
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। প্রথমেই তাদের সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল গ্রামেরই বাসিন্দা সুরেন্দ্র ওরফে গোলু-র উপর। কারণ, গত তিন বছরে আরও দু'জন মহিলার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। ওই দুই মহিলার মধ্যে একজনের আবার বয়স ৬৫ বছর। সুরেন্দ্রকে াটক করে চাপ দিতেই সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করে।
সে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় এক পানশালা থেকে আকন্ঠ মদ্যপান করে ফিরছিল সে। পথে খামারে ওই বৃদ্ধাকে একা শুয়ে থাকতে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেনি সে। শুধু ধর্ষণই নয়, ওই মহিলা যাতে চিৎকার করতে না পারেন, তার জন্য সে বৃদ্ধার মুখে কাদামাটি ঠুসে দিয়েছিল। মদের ঘোরেই সেই এই অপরাধ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে সে। তবে পুলিশ তা মানতে নারাজ। সুরেন্দ্রর অতীত রেকর্ড দেখে তারা মনে করছে এই অপরাধ তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে যাতে কঠোর সাজার রায় দেয় আদালত, সেইমতো মামলা সাজাচ্ছে পুলিশ।