সংক্ষিপ্ত
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা H3N2 ফ্লুকে ভাইরাল হওয়ার পেছনে কারণ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রমাগত জ্বরের ক্রমবর্ধমান ঘটনার কারণ হল অন্যান্য অনেক ভাইরাসও রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের ওপিডি রোগীতে ভরা। কারণ ভাইরাল জ্বর অর্থাৎ জ্বর ও সংক্রমণ। আবহাওয়া পরিবর্তন হলে প্রায় প্রতিবছরই এইসব ধরনের ভাইরাল ফিভারের মুখোমুখি হতে হয়। তবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে মৌসুমি সংক্রমণের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাল জ্বর বাড়ার কারণ হতে পারে অকাল তাপ ও দূষণ। তাপ ও দূষণের এই ককটেলের কবলে ভারতের সমস্ত শহর।
এর আগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা H3N2 ফ্লুকে ভাইরাল হওয়ার পেছনে কারণ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রমাগত জ্বরের ক্রমবর্ধমান ঘটনার কারণ হল অন্যান্য অনেক ভাইরাসও রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু যেকোন ফ্লুর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে অনেক কিছু যেমন উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর, শরীরে ব্যথা, সর্দি এবং মাথাব্যথা।
কাশি চার সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে
দিল্লির সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডিরেক্টর ডাঃ রোমেল টিকু বলেছেন যে অবশ্যই এই ফ্লুর লক্ষণগুলি ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে চলে যায়, তবে এর সাথে শুরু হওয়া কাশি প্রায় ৪ সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। এই ফ্লুর কারণে বেশিরভাগ মানুষই কাশিতে ভুগে থাকেন। রোমেল টিকুর বিবৃতি অনুসারে, ফ্লু কেবল আমাদের শ্বাসযন্ত্র নয়, ফুসফুসকেও প্রভাবিত করছে। ফলে কাশি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
করোনার মতো ফ্লু শটও জরুরি
কেউ কেউ বারবার ভাইরাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার শরীরে যে অ্যান্টিবডিগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে তা ফ্লুর অন্যান্য স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকর নয়। ডাঃ রোমেল টিকুর মতে, আপনি যদি ভাইরাসের এমন কোন লক্ষণ দেখেন তবে তিন দিনের মধ্যে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনাকে CBC এবং CRP এর মত রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন। অন্যদিকে, কাশির সময় যদি আপনার শ্লেষ্মায় কোনো ধরনের রক্ত থাকে বা অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি ফ্লু শটও নিন।
ইন্ডিয়ার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সারা দেশের চিকিৎসকদের ও সাধারণ মানুষকে সর্দি, কাশি হলে ও সঙ্গে সঙ্গে বমি বমি ভাব থাকতে নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। এজাতীয় সমস্যা চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য স্থায়ী হয়। এটিকে তাঁরা মৌসুমী জ্বর বা ঋতু বদলের জন্য হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন। তাই অযথা ভয় না পাওয়ার কথাও বলেছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন জ্বর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সেরে যেতে পারে। কিন্তু কাশি তিন সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। জানিয়েছে আইএমএ-র অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের স্থায়ী কমিটি। বায়ুদূষণের কারণে ভাইরাল অসুস্থতাগুলি বেড়েছে। এজাতীয় অসুখ সাধারণত ১৫ বছরের কমবয়সী ও ৫০এর বেশি বয়সীদের ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। মূলত জ্বরের সঙ্গে শ্বাসযন্ত্র সংক্রমিত হচ্ছে।