সংক্ষিপ্ত
জনসংখ্যা প্রসঙ্গে বদরুদ্দিন আজমল বলেন, সরকার ১৮ বছর বয়স নির্ধারণ করেছে, এরপর মেয়েদের বিয়ে হয়। পুরুষরা এক, দুই, তিন জন অবৈধ স্ত্রীকে ৪০ বছর ধরে রাখে।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই হিন্দুদের নিয়ে অদ্ভুত বক্তব্য দিয়েছেন এআইইউডিএফ নেতা বদরুদ্দিন আজমল। এআইইউডিএফ-এর সভাপতি বদরুদ্দিন আজমল বলেছেন, মেয়েদের ১৮ বছর পর বিয়ে হয় কিন্তু হিন্দু পুরুষদের বিয়ে হয় ৪০ বছর। আজমল বলেন, এসব লোকজন অবৈধভাবে দীর্ঘ সময় ধরে ২-৩ জন স্ত্রী রেখে সন্তান ধারণের খরচ বাঁচায়।
জনসংখ্যা প্রসঙ্গে বদরুদ্দিন আজমল বলেন, 'সরকার ১৮ বছর বয়স নির্ধারণ করেছে, এরপর মেয়েদের বিয়ে হয়। পুরুষরা এক, দুই, তিন জন অবৈধ স্ত্রীকে ৪০ বছর ধরে রাখে। তারা সন্তান জন্ম দিতে দেয় না, খরচ বাঁচায়। মজা করে। এরপর বাবা-মা বাধ্য হয়ে কোথাও আটকে গেলে, তারপর বিয়ে করলেন।
আজমল আরও বলেন, '৪০ বছর বয়সের পর সন্তান ধারণের ক্ষমতা কোথায় থাকে। জনসংখ্যা বাড়বে কোথা থেকে? সঠিক বয়সে উর্বর জমিতে বীজ ও ওষুধ দিলে সেখান থেকে শুধু ধান উঠবে। কৃষি ভালো হবে, উন্নতি হবে। তাদেরও এটা গ্রহণ করা উচিত। মুসলমানদের পদ্ধতি অনুসরণ করুন এবং ২০-২২ বছরের মধ্যে আপনার ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিন, তারপর দেখুন আপনার জায়গায়ও কয়টি সন্তান জন্ম নেয়, তবে দ্বিগুণ ব্যবসা করবেন না।
বদরুদ্দিন আজমলকে আসামের বড় নেতাদের মধ্যে একজন। তিনি অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (AIUDF) এর সভাপতি। তিনি ২০০৯ সাল থেকে আসামের ধুবরি লোকসভা আসন থেকে সাংসদ হয়ে আসছেন।
প্রসঙ্গত, দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কিছুদিন আগেই বিশেষ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর আইনের দাবিতে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে দায়ের করা আবেদনে আইন কমিশনকে এ বিষয়ে বিস্তারিত নীতিমালা তৈরিরও দাবি জানানো হয়েছে। আবেদন প্রত্যাখ্যান করে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে আইন কমিশন/সরকারকে এই বিষয়ে একটি নীতি তৈরি করতে বলা আদালতের কাজ নয়। এটি একটি নীতিগত সমস্যা। প্রয়োজন মনে করলে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৫০ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা তিনগুণ হবে। ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০৫০ সাল পর্যন্ত ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চিনের জনসংখ্যা কমেছে। আগামী কয়েক বছরে চিনের জনসংখ্যা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী দিনে বিশ্বের আটটি দেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হবে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান, কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন এবং তানজানিয়া।