সংক্ষিপ্ত
কর্নাটকের পুলিশ জানিয়েছে বিজয়ার সঙ্গে এক মুসলমান মহিলার সম্পর্ক ছিল। দুজনেই একে অপরকে ভালোবাসত। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুই পরিবার।
মুসলমান মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ২৫ বছর বয়সী এক হিন্দু তরুণকে হত্যা করা হয়েছে। কর্ণাটকের কালাবুর্গী জেলার এই ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। জানিয়েছে কর্নাটক পুলিশের এক পদস্থ কর্তা।
ওয়াদি শহরের ভীমা নদর লেআউটের বাসিন্দা বিজয়া কাম্বলে সোমবার রাতে একটি রেল ব্রিজের কাছে একদল দুষ্কৃতী আটকে দেয়। তারপর সেখানেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান হয়। প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হওয়ায় সেখানেই মৃত্যু হয় বিজয়ার। এই ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিজয়ের বন্ধুরা জানিয়েছেন তাঁরা সেই রাতে একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় একদল মানুষ তাদের ঘিরে ধরে। কিন্তু দুষ্কৃতীদের কাউকেই তারা চিনত না বলেও জানিয়েছে। আততায়ীদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল ধারাল অস্ত্র। এই দেখে বিয়জার বন্ধুরা সেখান থেকে চম্পট দেয়। বাকিদের যেতে দিলেও বিজয়াকে আটকে রাখে দুষ্কৃতীরা। তারপর সেখানেই তাঁকে মারধর করা। এক বন্ধু জানিয়েছেন বিজয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান হয়েছিল। সেই জায়গাটিও রক্তে ভেসে যাচ্ছিল।
কর্নাটকের পুলিশ জানিয়েছে বিজয়ার সঙ্গে এক মুসলমান মহিলার সম্পর্ক ছিল। দুজনেই একে অপরকে ভালোবাসত। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুই পরিবার। কিন্তু প্রেম কোনও বাধা মানে না। নিজেদের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছিলেন দুই প্রেমিক প্রেমিকা। তাতেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে বিজয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের.
বিজয়ের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মেয়েটির পরিবার তাদের বারবার সতর্ক করেছিল। একাধিকবার হুমকি দিয়েছিল। বিজয়াকে মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে দিতে বলেছিল। সম্পর্ক শেষ না করলে প্রাণে মেরে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল। পরিবারের সদস্যদেরও এই বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছিল। বিজয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল তারাও কথা দিয়েছিলেন এই সম্পর্ক আর এগিয়ে নিয়ে যেতে দেবেন না তাঁরা। কিন্তু তার আগেই তাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত দুই জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। মেয়েটির পরিবারের পাশাপিশ নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। যে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ তারা হল ১৯ বছরের শাহাবুদ্দিন ও তার বন্ধু ১৯ বছরের নাওয়াজ। শাহাবুদ্দিন বিজয়ার প্রেমিকার ভাই।