সংক্ষিপ্ত
হাইওয়াটার রিভার বেসিন গভর্নেন্স অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন এইচকেএইচ অঞ্চলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই তিনটি নদীর উপর মূলত ঝুঁকি রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের। এদের নদী অববাহিকায় দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আগামী কয়েক বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে চলেছে এবং এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। এই তাপমাত্রার পরিবর্তন গোটা বিশ্বের কাছে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি নতুন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাবগুলি গঙ্গা, সিন্ধু এবং ব্রহ্মপুত্র সহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নদী অববাহিকা জুড়ে পড়তে চলেছে। নৃতাত্ত্বিক কার্যকলাপ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রায় এক বিলিয়ন মানুষকে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে সমীক্ষায়।
হাইওয়াটার রিভার বেসিন গভর্নেন্স অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন এইচকেএইচ অঞ্চলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই তিনটি নদীর উপর মূলত ঝুঁকি রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের। এদের নদী অববাহিকায় দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। হিন্দুকুশ হিমালয় (HKH) দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশের জন্য মিষ্টি জলের উৎস। তাদের তুষার, হিমবাহ এবং বৃষ্টিপাত থেকে উৎপন্ন জল এশিয়ার ১০টি বৃহত্তম নদী ব্যবস্থাকে পূরণ করে।
পরিবেশজনিত হুমকির মুখে পড়েছে গঙ্গা নদী
জানা গিয়েছে যে গঙ্গাকে ভারতীয় উপমহাদেশের ৬০ কোটিরও বেশি মানুষের জন্য পবিত্র এবং অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। এখন এটি ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। দ্রুত শিল্পায়ন, নগরায়ণ এবং কৃষি পদ্ধতি নদীর পরিবেশগত স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে নিকাশি এবং শিল্প বর্জ্য জলকে মারাত্মকভাবে দূষিত করেছে, যা মানব স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উভয়ের জন্য হুমকি হিসেবে উঠে এসেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভারতেই সবথেকে বেশি পড়েছে। তাই, আমরা খুব বেশি কার্বন নির্গমন করিনি, তাই আমদের খুব বেশি পদক্ষেপ নিতে হবে না, এটা বলা যাবে না। এই রিপোর্টে প্রতিটি দেশকে জাতীয় প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতি অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা বলা হয়েছে। খাদ্য, জল, ক্ষুদ্র কৃষকদের কীভাবে রক্ষা করা যাবে এবং তার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে, রিপোর্টে সেই দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। তাই এই রিপোর্টটি ভারতের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।