সংক্ষিপ্ত
মহারাষ্ট্রের নাসিকের ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। এলাকার একটি দোকানে বেশ কয়েকদিন ধরে খুব দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল যার ফলে সেখানকার আশেপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয় এবং সূত্রের খবর সেই কারণে তাঁরা পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে অবগত করে। এরপর সেই তল্লাশির পর যে তথ্য সামনে এসেছে তা প্রায় সকলের নজর কেড়েছে।
মহারাষ্ট্রের নাসিক শহরের (Nashik City) নাকা এলাকায় একটি বিল্ডিংয়ের বন্ধ বেসমেন্টের দোকানে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ বের হতে হতে থাকায় খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এরপর সেখানে তল্লাশি চালানো হলে উদ্ধার হয় মানব দেহের শরীরের টুকরো টুকরো অংশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে চোখ, কান এবং মুখের অন্যান্য অংশ সহ মানুষের দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে।
এলাকার বাসিন্দাদের তৎপরতাতেই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharashtra Police)। কারণ দোকানটি থেকে গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত দুর্গন্ধ বের হতে থাকায় রবিবার রাতে তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি সম্পর্কে জানায়। দোকান মালিকের দুই ছেলেই চিকিৎসক বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুতরাং প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ যে 'এটাও সম্ভব মানব দেহের শরীরের এই অংশগুলি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত ছিল।' তবে এখনই ঘটনার নেপথ্যে পৌঁছায় নি পুলিশ, বর্তমানে গোটা বিষয়টিই তদন্তের অধীনে বলে জানিয়েছেন নাসিকের এক পুলিশ আধিকারিক।
আরও পড়ুন- টেনশনে চিন-পাকিস্তান! LOC-তে মোতায়েন ভারতীয় স্নাইপারদের হাতে সাকো টিআরজি-৪২
আরও পড়ুন- মতুয়া মহামেলায় ভাষণ দেবেন মোদী, টুইটারে স্মরণ করলেন হরিচাঁদ ঠাকুরকে
আরও পড়ুন- সংসদে সরব সৌমিত্র খাঁ, বীরভূম থেকে বিধানসভা ইস্যু তুলে ৩৫৫ ধারা জারির দাবি বিজেপির
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর থেকে জানা গেছে যে 'দোকানটি টুকিটাকি ক্ষুদ্র সামগ্রীতে ভর্তি ছিল। এরপর যখন দুটি প্লাস্টিকের পাত্র খোলা হয়েছিল, তখন আমরা মানুষের কান, মস্তিষ্ক, চোখ এবং মুখের কিছু অংশ পেয়েছি। ফরেনসিক দল আরও তদন্তের জন্য মানব দেহের অংশগুলোকে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে।'
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গেছে যে, পুলিশ আধিকারিক বলেছেন যে তারা দোকানের ভিতর হেকে দুটি ড্রাম উদ্ধার করেছে। এরপর ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ড্রামগুলো খোলার পরই মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে মানুষের মাথার খুলিও ছিল। এরপরে, তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে একটি ফরেনসিক দলকে (Forensic Team) ডেকে তদন্ত শুরু করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে দোকানে তদন্ত চালায়, যেটি গত ১৫ বছর ধরে ক্রমাগত বন্ধ ছিল। নাসিকের নাকা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মানব দেহের (Human Body) ওই বিচ্ছিন্ন অঙ্গগুলিকে রাসায়নিক দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। অঙ্গগুলি হাসপাতাল থেকেই আনা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছ যদিও পুলিশ এই অঙ্গগুলির আইনি সূত্র খুঁজে বের করার জন্য তদন্তের আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তদন্তের সূত্রে, পুলিশের তরফে ওই দোকানের মালিকের সাথে দেখা করা হয়, যিনি বলেছিলেন যে তিনি মানুষের দেহাবশেষ সম্পর্কে কিছুই জানেন না।' তদন্ত শেষ হলেই বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানা গেছে। এদিকে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্বভার গিয়ে পড়েছে নাসিক পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের (Crime Branch) উপর।