দেশে ৯০০ সিলিন্ডার উড়িয়ে আনল বায়ুসেনা ক্রমবর্ধমান অক্সিজেন সংকটের মোকাবিলায় পদক্ষেপ বায়ুসেনার ব্রিটেন থেকে ৯০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এল দেশে সোমবারই সেই সিলিন্ডার দেশে এসে পৌঁছেছে

ফের বায়ুসেনার অকুতোভয় পাইলটদের হাত ধরে শ্বাস ফিরে পাচ্ছে ভারত। দেশে ৯০০ সিলিন্ডার উড়িয়ে আনল বায়ুসেনা। ভারতে ক্রমবর্ধমান অক্সিজেন সংকটের মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিল ভারতীয় বায়ুসেনা। অক্সিজেনের সংকট মোকাবিলায় ব্রিটেন থেকে ৯০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার উড়িয়ে আনল বায়ুসেনার কপ্টার। 

সোমবারই সেই সিলিন্ডার দেশে এসে পৌঁছেছে। প্রথম ধাপে ৯০০টি সিলিন্ডার আনা হলেও পরবর্তীতে আরও সিলিন্ডার উড়িয়ে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ অক্সিজেন কোম্পানির উৎপাদিত এই অক্সিজেন আসছে ভারতে। ব্রিটিশ অক্সিজেন কোম্পানি ভারতে পাঁচ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার দেবে বলে জানা গিয়েছে। 

এক ট্যুইট বার্তায় লন্ডনে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে পাঁচ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার ভারতকে উপহার দিচ্ছে ব্রিটিশ অক্সিজেন কোম্পানি। এরই প্রথম ব্যাচের ৯০০টি সিলিন্ডার ভারতীয় বায়ুসেনার মারফত পাঠানো হল দিল্লিতে।

Scroll to load tweet…

রবিবার ব্রিটেনের তরফে জানানো হয় অতিরিক্ত ১০০০টি ভেন্টিলেটর ভারতীয় হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে মোকাবিলায় ভারতের লড়াইয়ের পাশেই রয়েছে ব্রিটেন। 

গত সপ্তাহে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকেই ভারতকে অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটর দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিলেন বরিস জনসন। তিনি বলেছিলেন ভারতকে ২০০টি ভেন্টিলেটর, ৪৯৫টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও তিনটি অক্সিজেন জেনারেশন ইউনিট পাঠানো হবে। সেই বরাত ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ভারতে। 

ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ এয়ারক্রাফট সোমবার ব্রিটেন থেকে সিলিন্ডারগুলি নিয়ে আসে। এদিকে, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্য যে সংকট দেশে তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করার জন্য নৌবাহিনীর পদক্ষেপ নিয়ে পর্যালোচনা করেন। দীর্ঘ সময় ধরেই তিনি নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল করমবীর সিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। মহামারি মোকাবিলার দেশবাসীকে সহযোগিতার জন্য বাহিনীর পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া তারই বিস্তারিত তথ্য প্রধানমন্ত্রীকে দেন করমবীর সিং।

জানা গিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনী সমস্ত রাজ্য প্রশাসনের কাছে পৌঁছে গেছে। হাসপাতাল,শয্যা, পরিবহন ভ্যাকসিন ড্রাইভ পরিচালনার ক্ষেত্র বাহিনীর জওয়ানরা সহযোগিতা করছে। বিভিন্ন শহরে সাধারণ নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য নৌ হাসপাতালে শয্যা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। খোলা হয়েছে নোভাল হাসপাতাল। করোনাভাইরাসের এই সংকট মোকাবিলা করার জন্য নৌবাহিনীর মেডিক্যাল কর্মীদের দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পুনরায় নিয়োগের ব্যবস্থা হয়েছে। কোভিড হাসপাতালে মেডিক্যাল কর্মী বৃদ্ধির জন্য নৌ কর্মীদের ব্যাটল ফিল্ড নার্সদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।