সংক্ষিপ্ত
- আইআইটি গুয়াহাটির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ
- প্রকল্পটি করা হচ্ছে আরও এক সেরা প্রতিষ্ঠান ইসরোর সহযোগিতায়
- অভিযোগ করেছেন আইআইটি গুয়াহাটিরই এক অধ্যাপক
- তাঁর এখন চাকরি যাওয়ার জোগার
আইআইটি ও ইসরো - দেশের অন্যতম সেরা দুই প্রতিষ্ঠান। আর তাদের যৌথ প্রকল্পেই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। আর এই গুরুতর অভিযোগ তোলার জন্য চাকরি খোয়ানোর মুখে দাঁড়িয়ে আছেন আইআইটি গুয়াহাটির এক অধ্যাপক।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৩ নভেম্বর। ওই দিন ইসরোর চেয়ারম্যান, আইআইটি গুয়াহাটির ডিরেক্টর ও আরও পাঁচ উচ্চপদস্থ আধিকারিককে একটি ইমেল করে আইআইটি ও ইসরোর যৌথ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ করেন, আইআইটি গুয়াহাটির ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ব্রিজেশ কুমার রাই। সেই সঙ্গে প্রকল্পের গবেষণা সহায়ক হিসেবে কাজের জন্য ২০১৭ সালের জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বর মাসে, আইআইটি গুয়াহাটির ডেপুটি রেজিস্টারের প্রকাশ করা দুটি বিজ্ঞাপনও জুড়ে দেন।
অধ্যাপক রাই দেখান, জানুয়ারির বিজ্ঞাপনে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল, আট মাস পরের বিজ্ঞাপনে তা অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়। রাই দাবি করেন পছন্দের প্রার্থীদের ওই পদের জন্য যোগ্য করে তুলতেই এই বদল করা হয়েছিল। নাম কা ওয়াস্তে সাক্ষাতকার নিয়েই গবেষণা সহায়কদের নিয়োগ করা হয়। অধ্যাপক রাই-এর অভিযোগ, ইসরোর টাকা প্রকল্পের লাভে নয়, কিছু মানুষের সুবিধা করে দিতে খরচ করা হচ্ছে।
এরপরই আইআইটি গুয়াহাটির পরিচালন পর্ষদ অধ্যাপক রাইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ব্রিজেশকুমার রাই-কে পর পর তিনটি শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। তদন্ত রিপোর্টে তাঁকে, আইআইটি গুয়াহাটি আচরণ বিধি এবং সিসিএস পরিচালন বিধি ১৯৬৪ অনুযায়ী 'প্রতিষ্ঠানকে বিব্রত করা' এবং 'সরকারী আধিকারিক হিসেবে অসদাচরণ' এবং 'আইআইটি-র ফ্যাকাল্টি হিসেবে অসদাচরণ'-এর দোষে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তবে অধ্যাপক রাইয়ের দাবি, তদন্ত চলাকালীন তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকী কেন্দ্রীয় মানবকল্যান মন্ত্রকে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।