সংক্ষিপ্ত

 

  • পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে এবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত
  •  শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছে না বাংলার সরকার
  • স্পেশ্যাল ট্রেনকে রাজ্যে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না
  • ক্ষুব্ধ অমিত শাহ চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা থেকে করোনায় মৃতের সংখ্যা, কেন্দ্রীয় দল আসা, সব কিছু নিয়েই বারবার কেন্দ্রীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের সংঘাত বেঁধেছে। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরান নিয়েও দুতরফের মধ্যে বিরোধ দানা বাঁধল। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই অভিযোগ তুলে এবার চিঠি লিখেলন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

করোনা সংক্রমণ আটকাতে গত ২৪ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে গণপরিবহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক ও ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন। গত সপ্তাহেই লকডাউনের কারণে বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর সিন্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শ্রমিক দিবসের দিন পয়াল মে থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছে। ওই বিশেষ ট্রেন চালিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া মানুষজনকে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের অভিযোগ, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হলেও অভিবাসী শ্রমিকদের ফেরাতে যথেষ্ট সাহায্য করছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শনিবার সাকেল এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য রেলের চালানো শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বাংলায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেন তিনি। 

 

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্য সরকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি অবিচার করছে। কেন্দ্র শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে করে প্রায় ২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে নিজেদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায় এরাজ্যে শ্রমিকদের দুর্দশা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগই নিচ্ছে না রাজ্য, হরিদ্বারে মমতার বিরুদ্ধে স্লোগান বাঙালি তীর্থযাত্রীদের

৫৯ হাজার ছাড়িয়ে গেল আক্রান্তের সংখ্যা, দেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হবে জুলাইতে

মলদ্বীপ থেকে অবশেষে ঘরের পথে ভারতীয়রা, দেখুন 'সমুদ্র সেতু' অভিযানের সেই ঝলক

এদিকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া নিয়ে প্রথমে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এই ট্রেনের ভাড়া শ্রমিকদের থেকেই নেওয়া হচ্ছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পরে মোদী সরকার প্রস্তাব দেয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবহণের জন্য পরিচালিত বিশেষ ট্রেনের ক্ষেত্রে রেলের ভাড়া বাবদ ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে কেন্দ্র এবং বাকি ১৫ শতাংশ রাজ্য সরকারগুলোকে দিতে হবে। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েই বিভিন্ন রাজ্যের সরকার তাঁদের বাসিন্দাদের ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও পশ্চিমবঙ্গ  সরকারের তরফে মাত্র দুটো ট্রেনের ব্যবস্থা করা ছাড়া আর তেমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ কেন্দ্রের। 

চিঠিতে অমিত শাহ লিখেছেন, কেন্দ্র আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে প্রত্যাশিত পর্যায়ে সমর্থন পাচ্ছে না। রাজ্য সরকারের কারণেই ভারতীয় রেল পরিচালিত বিশেষ "শ্রমিক ট্রেন" সে রাজ্যে পৌঁছতে পারছে না। এর আগে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিলেন।