সংক্ষিপ্ত

মুম্বইয়ে রাত জাগছে ‘টিম নির্ভয়া’। বেঙ্গালুরুতে শহরের রাস্তায় বন্ধ হচ্ছে প্রকাশ্য উৎসব। কলকাতা পুলিশের প্রহরা কেমন?

টানা ২ বছর পর দারুণ একটা বর্ষবরণের রাত। ২০২৩ শুরুর মুখে উৎসবের উন্মাদনায় মাতোয়ারা হবে সমগ্র ভারত। স্বভাবতই নিয়মভঙ্গের ঘটনাও যে এই সময়ে প্রায় স্বাভাবিক, তা ভালোই জানেন প্রশাসনিক কর্তারা। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছে দেশের বড় বড় শহরগুলির পুলিশ বিভাগ। গত দু’বছর ধরে করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে উদযাপনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০২৩-এর শুরুতে সেসব নিষেধাজ্ঞা প্রায় নেই বললেই চলে। এবছরের বছরের শেষ দিনটি পড়েছেও শনিবার, নতুন বছরের প্রথম দিনটি পড়েছে রবিবারে। অর্থাৎ, অফিসের ঝামেলা অনেকখানি এড়িয়ে যেতে পারছেন দেশবাসী। তাই এবছর অনেক বেশি মানুষ বর্ষবরণের আনন্দে সামিল হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শনি ও রবিবার কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, নয়ডা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, প্রতিটি শহরেই ট্র্যাফিকের কড়াকড়ি থাকবে চূড়ান্ত পর্যায়ে। আইন কঠোর ভাবে অনুসরণ করা হবে। প্রতি বছরই বর্ষশেষের রাতে ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ ওঠে। মত্ত হয়ে গাড়ি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই ব্রিদ অ্যানালাইজ়ার যন্ত্রের সাহায্যে গাড়ি চালকদের শ্বাস পরীক্ষা করে দেখবে পুলিশ। এর দ্বারা বোঝা যাবে চালক মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন কি না। 

কড়া নজরদারি থাকছে কলকাতা পুলিশের তরফেও। বর্ষশেষের রাতে উৎসবে মাতোয়ারা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাস্তায় থাকবেন প্রায় ৩ হাজার পুলিশ আধিকারিক। বিশেষ নজর রাখা হবে পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড, শেক্সপিয়র সরণী চত্বরগুলিতে। এগারোটি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পার্ক স্ট্রিটের এবং শেক্সপীয়র সরণী এলাকায় বিশেষ ভাবে নজর রাখা হবে। নজরদারির আওতায় থাকবে শহরের পানশালাগুলিও। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় থাকছে দু’টি কুইক রেসপন্স টিম। নজরদারি কঠোর করতে পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলকে ৬টি সেক্টরে ভেঙে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন ডিসি পদমর্যাদার পুলিশকর্মী। রাতে নজরদারি বাড়াতে শহরের নানা প্রান্তে ৯৭টি নাকা চেকিং পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। শহরের গির্জা এবং অন্যান্য দ্রষ্টব্য স্থানগুলির আশপাশে কড়া নজরদারি চালানো হবে।

মুম্বইতে বর্ষশেষের রাতে মেয়েদের সুরক্ষা দিতে তৈরি থাকছে ‘টিম নির্ভয়া’। ভিড় সামাল দিতে ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস থেকে কল্যাণ পর্যন্ত অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন চালানো হবে। যেকোনও পার্টিতে ড্রাগ সেবনের বিরুদ্ধে চলবে কড়া নজরদারি। মত্ত চালকদের আটকাতে শহরজুড়ে থাকছে নাকা চেকিং-এর ব্যবস্থা। বেঙ্গালুরু শহরে ৮ হাজার ৫০০ জন পুলিশ আধিকারিক বর্ষবরণের রাতে প্রহরায় নিযুক্ত থাকবেন। পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, রাত ১টার পর প্রকাশ্যে কোনও উৎসব করা যাবে না। নয়ডায় সিসিটিভির মাধ্যমে গোটা শহরে নজরদারি চালাবে পুলিশ। নারী এবং শিশুদের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে দিল্লি লাগোয়া এই শহরে।

আরও পড়ুন-
রঙিন হয়ে উঠল বর্ষবরণের রাত, পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ২০২৩-কে স্বাগত জানাল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড
ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভুয়ো ওষুধ, কড়া পদক্ষেপ নিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া
আমাদের 'জয় বাংলা' বললে ক্ষেপে যাই?: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ নিয়ে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের