India China Relations: গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে চিনের তিয়ানজিন শহরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি, উপস্থিত রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। 

India China Relations: গোটা বিশ্ব যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে সরগরম, ঠিক তখনই বৈঠকে ভারত এবং চিন। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বার্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছে দুই দেশ। 

গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ভারত-চিন রাশিয়া

সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে চিনের তিয়ানজিন শহরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি, উপস্থিত রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। সেইসঙ্গে, এসসিও ব্লকের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিরাও এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। 

Scroll to load tweet…

তবে গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে নরেন্দ্র মোদী, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার পুতিনের দিকেই। তার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির আবহে এই তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের একত্রিত হওয়া এবং একটি বৈঠকে যোগ দেওয়া, নিঃসন্দেহে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার। 

আরও কাছাকাছি চলে আসছে ভারত, চিন এবং রাশিয়া?

বরং, ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতিকে রুখে দিতেই কি আরও কাছাকাছি চলে আসছে ভারত, চিন এবং রাশিয়া? উল্লেখ্য, রবিবার চিনে পা দিয়েই ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমালোচনা করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ভ্লাদিমির পুতিন। ব্রিক্‌স গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির উপর আমেরিকার এই ধরণের শুল্ক আরোপ আদতে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর এই নীতির বিরুদ্ধে রাশিয়া এবং চিন যৌথভাবে লড়বে বলে জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। 

তবে শুধুমাত্র সেই দুই দেশ নয়। ব্রিক্‌স গোষ্ঠীর অন্যতম আরেকটি দেশ হল ভারত। তবে এই ব্রিক্‌সকে আমেরিকার স্বার্থবিরোধী বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প এবং সেইজন্যই ব্রিক্‌সের সদস্য সমস্ত দেশের উপর তিনি শুল্ক আরোপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এবার সেই পরিস্থিতিতে পুতিনের এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। 

রবিবার, চিনের তিয়ানজিন শহরেই জরুরি বৈঠকে বসেন জিনপিং এবং মোদী। সেই বৈঠকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনা করেন দুজনে। এদিন বৈঠক শেষে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা জানান, ‘‘গত বছর কাজ়ানে আমাদের মধ্যে একটা ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। তারপর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক একটা ইতিবাচক দিশাও পেয়েছিল। সীমান্তে বিরোধের পর, ভারত এবং চিনের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফলে, কৈলাস মানস সরোবর যাত্রাও আবার শুরু করা গেছে। তাছাড়া দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবাও চালু হয়েছে। আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক সংহতির উপর ভারত এবং চিনের ২০৮ কোটি মানুষের স্বার্থ অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িয়ে রয়েছে। যা গোটা পৃথিবীর জন্য ভালো। আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান এবং সংবেদনশীলতার ভিত্তি করেই আমরা এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভীষণভাবেই আগ্রহী।”

Scroll to load tweet…

অপরদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানিয়ে জিনপিং বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী! আপনার সঙ্গে আবার দেখা করে বেশ ভালো লাগছে। এসসিও সম্মেলনের জন্য চিনে আপনাকে স্বাগত জানাই। গত বছর, কাজ়ানে আমাদের বৈঠক বেশ সফল হয়েছিল। এই পৃথিবী আসলে একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। চিন এবং ভারত হল সবচেয়ে সভ্য দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। তাই আমরা বিশ্বের দুটি সবচেয়ে বড় জনবহুল দেশ। অতএব, আমাদের বন্ধুত্ব, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আলাদা মাত্রায় থাকবে। তাই একে অপরের পাশে থাকার বার্তা নিয়েই এগোনো জরুরি। আসলে ড্রাগন এবং হাতির একজোট হওয়া দরকার।’’

ফলে, বোঝাই যাচ্ছে যে, 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।