সংক্ষিপ্ত
- ভারতের মুখ উজ্জ্বল করলেন বিদিশা মৈত্র
- আগামী তিন বছরের জন্য গুরুদায়িত্ব পেলেন
- রাষ্ট্রসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য হলেন তিনি
- ইমরান খানের পাকিস্তানকে উচিৎ জবাব দিয়েছিলেন তিনি
ভারতের বিদিশা মৈত্র নির্বাচিত হয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে। আগামী দিনে তাঁকে ফাইনান্সিয়াল ও বাজেটারি কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখা যাবে। ১২৬টি ভোটের মধ্যে ৬৪টি ভোট পড়েছে তাঁর পক্ষে। আর তাতেই তিনি যেতে পেরেছেন প্রশাসনিক ও বাজেটারি সম্পর্কিত উপদেষ্টা কমিটিতে। কূটনৈতিক হিসেবেই তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের কমিটিতে একটিমাত্র পদে ভারতীয় প্রার্থী ছিলেন। বাকি প্রার্থী দিয়েছিল ইরাক ।
১৯৪৬ সালে ভারত প্রশাসনিক ও বাজেটারি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেছিল। এই কমিটিতে রাষ্ট্রসংঘের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কমিটি হিসেবে দেখা হয়। এই কমিটি রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল কর্তৃক জমা দেওয়া বাজেট পরীক্ষা করে পাশাপাশি বাজেট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ জেনারেল অ্যাসেম্বলিকে প্রদান করতে পারে। অ্যাসেম্বলির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজও এই কমিটির করে থাকে। সদস্য রাষ্ট্র থেকে পাওয়া অর্থ রাষ্ট্র সংঘ ঠিকমত খরচ করছে কিনা তা দেখার পাশাপাশি রাষ্ট্র সংঘ যে অর্থ পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে পাঠায় তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলি ঠিকমত খরচ করছে কিনা পর্যবেক্ষণ করা এই কমিটির কাজের মধ্যে পড়ে। এসিএবিকিউএর সদস্যরা ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সাধারণ পরিষদের ১৯৩ রাষ্ট্রের দ্বারা নির্বাচিত হন আর ৩ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
৪ দিন পরেও কেন আমেরিকাতে ভোট গণনা চলেছে, জেনে নিন দেরির কারণগুলি .
বিপুল পরিমাণে ভোট পেয়ে কি সুচি আবার ক্ষমতায় ফিরবেন, কাল রায় দেবে মায়ানমার ..
২০০৯ সালে ইন্ডিয়ার ফরেন সার্ভিসের ক্যাডার বিদিশা মৈত্র। ২০০৮ সালে সিভিল সার্ভিস পরীভক্ষা পাশ করেন। সারা দেশের মধ্যে ৩৯ তম স্থান দখল করেন তিনি। ২০০৯ সালে বেস্ট অফিসার ট্রেনি হয়ে সোনার মেডেল অর্জন করেছিলেন। রাষ্ট্রসংঘের কনিষ্ঠতম সদস্য বিদিশা মৈত্র। রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষেদে ভারত কোন কোন বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবে তার ঠিক করার দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। আর সেই সূত্র ধরেই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানকে রীতিমত কাঠগড়ায় তুলিছেলেন তিনি। সেই সময় তিনি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের ফার্স্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব সামলেছিলেন। রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে রীতিমত হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। তার উত্তর দিতে গিয়ে মাত্র ৫০ মিনিটেই বাজিমাৎ করেছিলেন ভারতের এক কূটনৈতিক। যা দেখে তাঁর প্রশংসায় সরব হয়েছিল দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল। সেই বিদিশাই এবারও আরও বড় দায়িত্ব সামলাবেন।