সংক্ষিপ্ত
- পাকিস্তানকে নয়া বার্তা ভারতের
- হতে পারে বন্ধুত্ব
- তবে মানতে হবে বিশেষ শর্ত
- বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৌহার্দ্য সম্ভব। বৃহস্পতিবার এমনই ইঙ্গিত দিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এদিন বলেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেও স্বাভাবিক সম্পর্ক হওয়া সম্ভব যদি পাকিস্তান চায়। এজন্য সবার আগে সীমান্তপারের সন্ত্রাস বন্ধের ওপর জোর দিতে হবে ইসলামাবাদকে। দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি নির্ভর করছে পাকিস্তানের গঠনমূলক পদক্ষেপের ওপর।
বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সদর্থক ভূমিকা খুব জরুরি। এদিন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারত ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে। তিনি নিজের ট্যুইটে বলেন আফগানিস্তান নিয়ে ভারত একটু বেশিই স্পর্শকাতর। তারও উত্তর এদিন দেয় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক।
চ্ছে সম্পর্কের, ইলিশ-ভ্যাকসিন তরজায় নরেন্দ্র মোদী- শেখ হাসিনার দূরত্ব বাড়ছে
অরিন্দম বাগচী জানিয়ে দেন তাদের পাশে কে থাকবে, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র আফগানিস্তানের রয়েছে। ভারতকে তারা নিজেদের পাশে চায়, তাই ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আফগানিস্তানের টোলো নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে কুরেশি উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন কাবুলে ভারত যে সহমর্মিতা দেখাচ্ছে, তা একটু বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য নয়াদিল্লির সহযোগিতায় আফগানিস্তানে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চলছে।
এদিন বিদেশ মন্ত্রক পাকিস্তানের মুখের ওপর জবাব দিয়ে জানায়, পাকিস্তান চাইলে, তাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারে ভারত। তবে তার আগে সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে ইসলামাবাদকে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে সহমত হয় এই দুই দেশ।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয় ভারত পাকিস্তান দুই পক্ষই ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাত থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা ও অন্যান্য সেক্টরে সমস্ত চুক্তি মেনে চলবে। গুলি চালানো বন্ধ করার বিষয়েও একমত হয় ভারত ও পাকিস্তান। অন্যদিকে এপ্রিল মাসেও ভারতের প্রতি সহযোগিতার বার্তা দেয় ইমরান খান সরকার। বিশ্বব্যাপী মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে থাকবেন বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন ইমরান। একই সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার কয়েক জন্য সদস্যও ভারতের করোনা মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়ায় রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন।