সংক্ষিপ্ত

এই বিষয়ে আরও বেশি পর্যালোচনার জন্য ভারত ও তাইওয়ান চলতি বছরের প্রথমেই  চারটি দল তৈরি করেছে। যে দলগুলি একটি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জনশক্তি,শিক্ষা প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি পরিচালনা করবে। এই ইস্যুতে চলতি বছর মাঝামাঝি সময় থেকেই বিষয়টি গতি পেয়েছিল।

তাইওয়ানের (Taiwan) সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত (India)। দুটি দেশই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। সেখানে সেলফোন থেকে গাড়ির মত গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবানপণ্যগুলির জন্য প্রয়োজনীয় চিপগুলির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দুটি দেশ সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন কেন্দ্র বা সেমিকন্ডাক্টর হাব তৈরি করছে। 


এই বিষয়ে আরও বেশি পর্যালোচনার জন্য ভারত ও তাইওয়ান চলতি বছরের প্রথমেই  চারটি দল তৈরি করেছে। যে দলগুলি একটি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জনশক্তি,শিক্ষা প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি পরিচালনা করবে। এই ইস্যুতে চলতি বছর মাঝামাঝি সময় থেকেই বিষয়টি গতি পেয়েছিল। দলগুলির এখনও পর্যন্ত দুবার বৈঠক করেছিল। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রস্তাবই গ্রহণ করেছে দলের সদস্যরা। ভারত এই হাবের জন্য বেশ কয়েকটি জমিও ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়েছে। কিন্তু এখনও এই বিষয়ে কোনও স্থির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলেও সূত্রের খবর। 

তাইওয়ানের TSMCর মত সংস্থাও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এটি অত্যান্ত জটিল একটি প্রক্রিয়া। তাই স্থির সিদ্ধান্ত আসতে আরও কিছু সময় লাগবে। কারণ ভারতে একটি হাব তৈরির অর্থই হল সেই সংস্থাটির মত একটি কোম্পানি শত শত অন্যান্য ফার্মের উপাদান ব্যবহার করবে। ভারতে একাধিক সামগ্রী তৈরি হবে। তাই ভারত থেকে যাতে প্রয়োজনীয় সুবিধেগুলি পাওয়া যায় তা খতিয়ে দেখাও জরুরি। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে যদি প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হয় তাহলে এটি হবে তাওয়ানের কোনও নির্মাতার মাধ্যমে বিদেশি কোনও রাষ্ট্রে এজাতীয় দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। টিএসএমসির বাজার মূল্য ৫৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

তাইওয়ানের সঙ্গে এজাতীয় সম্পর্ক তৈরি করার আরও একটি অর্থ রয়েছে। চিন ক্রমশই চাপ বাড়াচ্ছে তাওয়ানের ওপর। আকাশ সীমা এলাকায় চিনা অনুপ্রবেশ ক্রমশই বাড়ছে। আক্রমণের হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাইওয়ান। তাইওয়ান প্রণালিতে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যকচারিং হাব তৈরি করার সিদ্ধান্তকে ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ওয়াশিংটন ও তাওয়ানের মধ্যে যে সামরিক সমঝতা রয়েছে তাও আরও বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় ভারতের মত চিনের প্রতিদ্বন্দ্বি দেশের দিকেও তাওয়ানের নজর রয়েছে। সূত্রের খবর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য তাওয়ান মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের দিকে নজর দিয়েছে। মুম্বইতে একটি অফিস খোলার সম্ভাবনাও রয়েছে। 

ভারত ও তাওয়ানের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৯৫ সালে দুটি দেশ একে অপরের রাজধানীতে সরকারি অফিস খুলেছিল। ২০১২ সালে চেন্নাইতে দ্বিতীয় তাইপেই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্টিত হয়েছিল। তবে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ়় করার জন্য ভারত কিছুটা হলেও সাবধানে পা রাখছে। কারণ লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশ এলাকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন ক্রমশই বাড়ছে। তবে সেনিকন্ডাক্টর হাবগুলির জন্য ২০১৫ সালের মধ্যে ভারত প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের আশা করছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রয়েছে। 

তাইপেই ন্যাশালান চেংচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশানাল রিলেশনসের তাইওয়ান ফেলো সানা হাশমি বলেন অর্থনৈতিক সম্পক্ক অগ্রসর হওয়া ভারত ও তাওয়ানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের কাঠামোর মধ্যে পড়ে। তাইপেই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মূল কাজও দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। চিন এই বিষয়ে আপত্তি জানালেও এক চিনের নীতি এতে লঙঘন করা হয় না। 

Punjab Teacher Protest: শিক্ষক পদপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, চ্যালেঞ্জের মুখে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী

COVID Booster Doses: কারা পাবেন করোনার বুস্টার ডোজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি মেনেই সিদ্ধান্ত

ক্ষমতার ১০ বছর, বিশ্বের অন্যতম অভিজ্ঞ নেতা হলেও রহস্যে মোড়া কিম জং উন