UN Council Meeting: জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে পাকিস্তানের জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তীব্র আক্রমণ ভারতের। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
UN Council Meeting: গত ২২ এপ্রিল জম্মু কাশ্মীরের অন্ততনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় তপ্ত ভারত-পাক সম্পর্ক। পাকিস্তানের সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত সরকার। এমনকি ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তিও স্থগিত রাখা হয়েছে। ভারতের কাছে এমনকি রাষ্ট্রসঙ্ঘে বারবার দরবার করেও সিদ্ধান্ত থেকে একচুলও নড়াতে পারেনি ভারতকে। এই অবস্থায় পাকিস্তানজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র জলসঙ্কট। কারণ, সিন্ধু জলচুক্তির ৭০ শতাংশ জলই পাকিস্তানের দৈনন্দিন জীবন ও কৃষিকাজে ব্যবহার করা হয়। যদিও তাতে একদমই মাথা ব্যথা নেই ভারতের।
কী বলেছেন ভারতীয় প্রতিনিধি?
আর এবার জাতিসঙ্ঘের বৈঠকে পাকিস্তানকে চাচাঁছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন ভারতীয় কূটনীতিক অনুপমা সিং। শুক্রবার জেনেভায় অবস্থিত জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত নিয়ে ভারত-পাক অবস্থান প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। পাকিস্তানের জঙ্গি নীতির বিরুদ্ধে সরব হন অনুপমা। কার্যত আক্রমণের সুরে বলেন, ''১৯৬০ সালের পৃথিবী আর আজকের পৃথিবী এক নয়। ১৯৬০ সালে সদিচ্ছা ও বন্ধুত্বের চেতনায় সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, আজকের ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে সেদিনের ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক আকাশ-পাতাল তফাত আছে।''
তিনি আরও বলেন, ''একটি বিশেষ প্রতিনিধিদলের কাউন্সিলের কার্যক্রমকে রাজনীতিকরণের ক্রমাগত এবং ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টার প্রতি আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি। এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল এই প্ল্যাটফর্মের অখণ্ডতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং অন্যান্য মূল বিষয়গুলি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।''
সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে কটাক্ষ:-
সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে না চলার নয়াদিল্লির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে কূটনীতিক বলেন, "১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জল চুক্তি সদিচ্ছা এবং বন্ধুত্বের চেতনায় সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু ১৯৬০ সালের পৃথিবী আজকের পৃথিবী নয়। পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত নিরলস সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ বাস্তবতা চুক্তির বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করার পরিবেশকে নষ্ট করে দেয়।"
প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে সিন্ধু জলচুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগা নদীর জল ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan News)। ভারত ইরাবতী, শতদ্রু ও বিপাশা নদীর জল ব্যবহার করতে পারে। আর এই নদীগুলি পাকিস্তানের জলের যোগান ও সেচকাজের জল সরবরাহ করে। ভারত এই জলচুক্তি স্থগিত ঘোষণা করার শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছিল পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মহলেও জানানো হয়েছে বিষয়টি। এমনকি সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ইসলামাবাদ থেকেও চিঠি এসে পৌঁছেছে ভারতে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


