সংক্ষিপ্ত

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ট্রেন দুর্ঘটনায় বা মানুষ পরিচালিত লেভেল ক্রসিং দুর্ঘটনায় যে কেউ যদি মারা যায় তাহলে পরিবারের সদস্যদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়।

 

ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত বা আহতদের ক্ষেত্রে ক্ষতিপুরণ এক ধক্কায় ১০ গুণ বাড়িয়ে দিল ভারতীয় রেল। এর আগে ২০১২ ও ২০১৩ সালে শেষবারের মত ক্ষতিপুরণ বা এক্সগ্রাসিয়া শেষবারের মত সংশোধন করা হয়েছিল। রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ট্রেন দুর্ঘটনা বা মানুষ পরিচালিত লেভেল ক্রসিং -এ দুর্ঘটনার কারণে নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে। আহতদের ক্ষতিপুরণের অঙ্কও বাড়ান হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ট্রেন দুর্ঘটনায় বা মানুষ পরিচালিত লেভেল ক্রসিং দুর্ঘটনায় যে কেউ যদি মারা যায় তাহলে পরিবারের সদস্যদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়। গুরুতর আহতদের আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আহত যাত্রীদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। আগে কেউ মারা গেলে তার পরিবার পেত ৫০ হাজার টাকা। গুরুতর আহতদের দেওয়া হত ২৫ হাজার ও আহতদের দেওয়া হয় ৫ হাজার টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে অপ্রীতিকর ঘটনায় মৃত, গুরুতর আহত এবং সাধারণভাবে আহত যাত্রীদের নির্ভরশীলরা যথাক্রমে দেড় লক্ষ, ৫০ হাজার এবং ৫ হাজার করে টাকা পাবে। আগে এই ক্ষেত্রে ক্ষতিপুরণের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার, ২৫ হাজার ও ৫ হাজার টাকা।

অপ্রীতিকর ঘটনাগুলিকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলি হল- জঙ্গি হামলা, হিংসাত্মক হামলা ও ট্রেনে ডাকাতির মত অরপাধ।

ট্রেন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ৩০ দিনেরও বেশি যদি গুরুতর আহত যাত্রীরা হাসপাতালে থাকে তাহলে তাদেরও খরচ বহন করবে সরকার। বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে প্রতি ১০ দিনের জন্য বা ছাড়ার তারিখ পর্যন্ত আহতকে দৈনিক ৩ হাজার টাকা দেওয়া হবেয অপ্রীতিকর ঘটনায় আঘাতের ক্ষেত্রেও ক্ষতিপুরণের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে আহতকের ১০ দিন চিকিৎসার জন্য দৈনিক দেড় হাজার টাকা দেওয়া হবে। ১০ দিন পরে ৭৫০ টাকা দেওয়া হবে। হাসপাতালে ভর্তির পর ৫ মাস পর্যন্ত এই টাকা পাবে সংশ্লিষ্টরা।

রেল বোর্ড স্পষ্ট করে দিয়েছে, যন্ত্র চালিত লেভেল ক্রসিং-এ অনুপ্রবেশকারীরা যদি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাহলে তাদের কোনও ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে না। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিপুরণের দাবি গ্রাহ্য নয়। ১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইন ট্রেন দুর্ঘটনা এবং অপ্রীতিকর ঘটনায় যাত্রীদের মৃত্যু বা আহত হওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণের দায়বদ্ধতা নির্ধারণ করেছে।