সংক্ষিপ্ত

গোশালা থেকে কসাইদের কাছে গরু বিক্রি করে। বিজেপি সাংসদ মেনকা গান্ধীর বড় অভিযোগ। ইসকন বলেছে অভিযোগ ভিত্তিহীন।

 

ইসকন বা কৃষ্ণ কনসিয়াসান ইন্টারন্যাশানাল সোসাইটি সম্পর্কে বড় অভিযোগ করলেন বিজেপি সাংসদ মেনকা গান্ধী। তিনি বলেন, ইসকন হল দেশের সবথেকে বড় প্রতাকর। কারণ তারা একটি গোশালা চালায়। সেই গোশালা থেকে কসাইদের কাছে গরু বিক্রি করে। যদিও বিজেপি সাংসদের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সংস্থা। বিশ্বে সবথেকে প্রভাবশালী কৃষ্ণ সম্প্রদায় জানিয়েছে, বিজেপি সাংসদের অভিযোগুলল অপ্রমাণিত ও মিথা। তাই এটি তারা মেনে নিচ্ছে না।

মেনকা গান্ধী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রাণী অধিকার কর্মী হিসেবে রীতিমত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। সোস্যাল মিডিয়াতেও পশু কল্যাণ নিয়ে সোচ্চার মেনকা গান্ধী। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি রীতিমত জোর দিয়ে বলেছেন, ইসকন দেশের সবথেকে বড় প্রতারক। তারা একটি বিশাল গোশালা চালায়। সেটি রক্ষণাবেক্ষণ করে। কিন্তু গোশালার গরুই তারা কসাইদের কাছে বিক্রি করে দেয়। তিনি আরও বলেন, ইনসক গোশালার জন্য সরকারি সুবিধে পায়। বিস্তীর্ণ জমি পায়েছে, সরকারের কাছ থেকে নানাবিধ সুবিধেও তারা পায়। মেনকা গান্ধী নিজের অন্ধ্রপ্রদেশের ইসকনের মন্দির সফরের কথাও বলেছন। তিনি বলেন অন্ধ্রপ্রদেশের ইসকনের অনন্তপুর গোশালায় তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি এমন একটিও গরু খুঁজে পাননি যেটি দুধ দেয় না বা বাছুরের জন্ম দেয় না। মেনকা গান্ধীর কথায়, 'পুরো ডেয়ারিতে একটিও শুকনো গরু ছিল না। একটি বাছুরও ছিল না। এর মানে সব বিক্রি হয়ে গেছে।'

MODI AT Science City: রোবটের হাতে এক কাপ চা খেলেন মোদী, জানালেন সায়েন্স সিটি দর্শনের অভিজ্ঞতা- দেখুন ভিডিও

শুকনো গাভী কথার অর্থই হল- এমন গরু যেটি বেশ কিছু সময়ের জন্য দুধ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। মেনকা গান্ধীর অভিযোগ, ইসকন নিজের গোশালায় থাকা সমস্ত গরু কসাইদের কাছে বিক্রি করছে। তারা যতটা গরু বিক্রি করে তা আর কেউ করে না। তিনি বলেন, 'তারা রাস্তা দিয়ে হরে কৃষ্ণ হরে রাম গান গায়। তারা বলে তাদের জীবন পুরো দুধের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু তারা যতটা গরু কসাইদের কাছে বিক্রি করে তা সম্ববত আর কেউ করে না।'

Relationship tips: ছোটবেলার বিচ্ছেদের যন্ত্রণা পরবর্তীকালে যৌন জীবনে সমস্যা তৈরি করতে পারে

বিজেপি সাংসদ তথা পাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। ইসকনের জাতীয় মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বলেছেন, ধর্মীয় সংস্থাটি শুধুমাত্র ভারত নয় বিশ্বের একাধিক দেশে গরু ও ষাঁড়ের সুরক্ষার জন্য লড়াই করে। গবাদি পশু যন্তে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান সবার আগে থাকে। তিনি আরও বলেছেন গরু ও ষাঁড় কসাইদের কখনই বিক্রি করা হয় না। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইসকনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, যেখানে গরুর মাংস প্রধান খাদ্য সেখানেই ইসকন গরু সুরক্ষার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, মেনকা গান্ধী একজন সুপরিচিক প্রাণী অধিকার কর্মী। তিনি ইসকনের শুভাকাঙ্খীও। তাই তাঁর বিবৃতিতে ইসকন কর্তৃপক্ষ রীতিমত অবাক হয়েছে।

S Jaishankar: রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ থেকে একযোগে কানাডা চিন পাকিস্তানকে আক্রমণ জয়শঙ্ককের, উস্কে দিলেন ভারত বিতর্ক

হরে কৃষ্ণ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ইসকন। এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে শতাধিক মন্দির রয়েছে। বিশ্বের প্রচুর মানুষ এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। কয়েক মাস আগেও ইসকন খবরের শিরোনামে এসেছিল। প্রতিষ্ঠানের একজন সন্ন্যাসী স্বামী অমোঘ লীনা দায় বিবেকানন্দ ও পরমহংস রামকৃষ্ণের সমালোচনা করেছিলেন। মাছ খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু তারপরই ইসকন কর্তৃপক্ষ অমোঘ লীলা দাসকে সাসপেন্ড করেছিলয়। তাঁরে প্রায়শ্চিত্তের জন্য পাঠিয়েছিল।