সংক্ষিপ্ত

মহিলা শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে কর্তৃপক্ষের আবায়া নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তাদের অভিযোগ আবায়া পরা অবস্থায় তাদের স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

 

শ্রীনগরের একটি স্থানীয় স্কুলে আবায়া বা পূর্ণ দৈর্ঘ্যের মুসলিম মহিলাদের পোশাক নিষিদ্ধ করার অভিযোগে স্কুলের প্রিন্সিপালকে রীতিমত হুমকি দিল স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন। তারপরই স্কুলের প্রিন্সিপাল কিছুটা হলেও ভয় পেয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তবে স্কুল প্রিন্সিপালের আবায়া ব্যান করার সিদ্ধান্ত স্কুলের মহিলা পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের কথায় দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা স্কুলে আবায়া পরেই আসে। কিন্তু এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করেই তাঁদের পোশাক পরা নিয়ে সমস্যা তৈরি করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।ঠ

আবায়া হল ঢিলেঢারা মুসলিম মহিলাদের পোশাক। যা মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা থাকে। অধিকাংশ মুসলিম মহিলাই কালো রঙের এইজাতীয় পোশাক পরে। বিশ্বভারতী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনা রীতিমত চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে উপত্যকায়। কয়েক মহিলা শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে কর্তৃপক্ষের আবায়া নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তাদের অভিযোগ আবায়া পরা অবস্থায় তাদের স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, স্কুলে হিজাব পরার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু আবায়া পরার কোনও অনুমতি নেই। তাই তিনি চেয়েছিলেন স্কুলের ছাত্রীরা স্কুলের মধ্যে আবায়া না পরুক। সেই কারণেই তিনি নোটিশ দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছেন, শিক্ষার্থীরা আবায়া পরে স্কুলে আসতেই পারে। কিন্তু ক্লাসরুমে ঢোকার পরে তাদের আবায়ার পরিবর্তে হিজাব পরতে বলা হয়েছিল। তারপরই কয়েকজন পড়ুয়া স্কুলে ঢুকতে না পেরে বিক্ষোভ দেখায়।

এই নিয়ে পডুয়াদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিবাদ বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় জম্মু ও কাশ্মীরের একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী একটি বিবৃতি জারি করে স্কুলের অধ্যক্ষকে নিশানা করে। অধ্যক্ষকে ডানপন্থীদের অনুগামী বলে চিহ্নিত করে রীতিমত হুমকি দেওয়া হয়। এই বিবৃতি জারি করার পরে অধ্যক্ষ সন্ধ্যাবেলাতেই নতুন একটি বিবৃতি জারি করে পিছিয়ে যান। তিনি বলেন পড়ুয়া আর অভিভাবকদের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন। অধ্যক্ষ বলেন, 'শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে আজকের কথোপকথনকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রেই যদি এতে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, আমি তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী'। তিনি সেখানেই জানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা আবায়া পরতে পারবেন। শ্রেণীকক্ষে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি।

যদিও বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি অধ্যক্ষের প্রথম বিবৃতি যথেষ্ট অপমানজনক ছিল। প্রথমে নাকি তিনি বলেছিলেন শিক্ষার্থীরা আবায়া পরতে চাইলে মাদ্রাসায় চলে যেতে পারে। অধ্যক্ষ আরও বলেছিলেন তিনি তাঁর স্কুলের মধ্যে কোনও শিক্ষার্থীকে আবায়া পরে ঢুকতে দেবেন না। পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাদের বলেছিল আবায়া পরার জন্য স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেই কারণেই তারা স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তাদারে আরও দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই অনেক শিক্ষার্থী আবায়া পরে স্কুলে আসে- কোনও দিনই কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়নি।

আরও পড়ুনঃ

পঞ্চায়েত নির্বাচনে গতবারের মত তৃণমূলের হাতেই একচেটিয়া ক্ষমতা থাকবে? প্রশ্ন বাকি দলগুলির অবস্থান নিয়েও

Mumbai murder: প্রতিবেশীদের তৎপরতায় গ্রেফতার 'খুনি প্রেমিক', এই ৬টি কারণে মীরা রোড খুনের পর্দাফাঁস

পাকিস্তানের জঙ্গি মাস্ত গুল একটি সুফি মাজার ধ্বংস করে দিয়েছিল, ভাঙতে পারেনি কাশ্মীরের সম্প্রীতি