সংক্ষিপ্ত
জনতা দল ইউনাইটেডের বিধায়ক গোপাল মণ্ডল মঙ্গলবার নাতনির সিটিস্ক্যান করাতে ভাগলপুরের একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন
এমএলএ ফাটাকেষ্ট নয়, এমএলএ গোপাল মণ্ডল- বন্দুকহাতে দাপিয়ে বেড়ালেন হাসপাতালে। নাতনির সিটি স্ক্যানের জন্য হাসপাতালে ঢুকে পড়েন বন্দুক হাতে। সঙ্গে ছিল তার পারিষদরা। সেখানে ঢুকে রীতিমত হম্বিতম্বি দেখাতে শুরু করেন। রীতিমত তটস্ত হয়ে যায় হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা।
জনতা দল ইউনাইটেডের বিধায়ক গোপাল মণ্ডল মঙ্গলবার নাতনির সিটিস্ক্যান করাতে ভাগলপুরের একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে বন্দুক হাতে দেখা যায়। রিভালবার নিয়ে বিনদাস হাসপাতালে ঘুরে বেড়ান। তাঁকে দেখে আঁতকে ওঠেন হাসপাতালের উপস্থিত মানুষ। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও বিধায়কের দাবি তাঁর রিভারবারের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু কেন তিনি এটি হাতে নিয়ে হাসপাতালে খুল্লম খুল্লা ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার রাতে বিহারের ভাগলপুরের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানেই জনতা দলের বিধায়ককে রিভালবার হাতে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। যদিও তাঁকে অনেকেই প্রশ্ন করেন কেন এমন সরকারি জায়গায়, বন্দুক হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তার উত্তরে তিনি বলেন, এটি এমন একটি জিনিস যা হাতে নিয়েই রাখতে হয়। এটি ভিতরে রেখে দেওয়ার জিনিস নয়। হাতে রিভালবার নিয়ে ঘোরাই তাঁর স্টাইল বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক মশাই।
বিধায়ক গোপাল মণ্ডল আরও বলেছেন, রিভারবার রাখার লাইসেন্স রয়েছে তাঁর। তিনি আরও বলেন, তাঁর অনেক রাজনৈতিক শত্রু রয়েছে। সেই কারণে তিনি সঙ্গে অস্ত্র রেখেছেন। আগে অপরাধীরা তাঁকে অনুসরণ করত। তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থার ওপর ভরসা না করেই নিজের অস্ত্র নিজে বহন করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি সাংসদ হবেন। তাই তার ভয়ের কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন।
গোপাল মণ্ডল বলেন, বিহারের জাতি ভিত্তিক সমীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর এলাকায় তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বেশি তাই জেতার ব্যাপারে তিনি অত্যান্ত আশাবাদী। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর নাতনির সিটিস্ক্যানের রিপোর্ট স্বাভাবিক।