সংক্ষিপ্ত

রাহুল গান্ধী ভারত বিরোধী। দেশের সেনা বাহিনীর প্রতি কোনও আস্থা নেই। রাহুল গান্ধী দেশের জন্য বিরক্তিকর হয়ে যাচ্ছেন। চিন নিয়ে কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি।

 

অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংএ চিনা সেনার হামলা নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য করার পর থেকেই তাঁর বিরোধিতায় আসরে নেমেছে বিজেপি। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও অনুরাগ ঠাকুরের মত নেতারা।

জেপি নাড্ডার মন্তব্য

রাহুল গান্ধীর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'রাহুল গান্ধী চিন আর পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলেছেন। এটি তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলে।' নাড্ডা মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাহুল গান্ধী বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। রাহুল গান্ধীর এজাতীয় মন্তব্য তাঁর মনের দেউলিয়াপনাকে সামনেই আনছে। নাড্ডা আরও বলেছেন, ভারতীয় সেনা বাহিনীর সাহস আর বীরত্বের প্রতীক। কিন্তু রাহুল গান্ধী স্বীকার করতে চান না। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেব কংগ্রেসের সঙ্গে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সমঝতা। তিনি বলেন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সমঝতা করেছিল। আর সেই কারণে ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূতের অফিস থেকে কংগ্রেস অনুদান পেয়েছিল। আর সেই কারণে রাহুল গান্ধী ডোকলাম থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত চিনা সেনার পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন।

গৌরব ভাটিয়ার মন্তব্য

ভারতীয় জনতা পর্টির মুখপত্র গৌরব ভাটিয়াও রাহুল গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন, রাহুল গান্ধীর হাতের রিমোট কন্ট্রোলে চলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। যদি তাই না হত তাহলে রাহুল গান্ধী অরুণাচলপ্রদেশে ভারতীয় সেনাদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তারপর তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করে দিত কংগ্রেস। তিনি আরও বলেছেন, দেশের প্রধান বিরোধী দল বর্তমানে দেশের শক্রপক্ষের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা দেশের সেনা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, গৌরব ভাটিয়া রাহুল গান্ধীকে কনৌজের রাজা জয়চাঁদের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ইতিহাস অনুযায়ী ব্রিটিশদের পক্ষে গিয়ে ভারতীয়দের চূড়ান্ত ক্ষতি করেছিল। রাহুল গান্ধীর এজাতীয় মন্তব্যের জন্য কংগ্রেস নেতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য

রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে অবাক নন বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন আগেও রাহুল গান্ধী এজাতীয় মন্তব্য করেছেন। ভারতীয় সেনাদের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় রাহুল গান্ধীর মনোভাব। পাশাপাশি অনুরাগ ঠাকুর বলেন চিনা কর্তকর্তাদের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর স্যুপ খাওয়ার ছবিও তিনি দেখেছেন। তিনি বলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রতি রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসের কোনও আস্থা নেই। কিন্তু বিজেপির পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

কিরেন রিজিজুর মন্তব্য

গান্ধী শুধু সেনাবাহিনীকেই অপমান করেননি, দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট করেছেন। অরুণাচলের সাংসদ টুইট করেছেন, "তিনি কেবল কংগ্রেস পার্টির জন্যই সমস্যা নন, তিনি দেশের জন্য একটি বিশাল বিব্রতকরও হয়ে উঠেছেন। আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত।"

রাহুল গান্ধীর মন্তব্য-

শুক্রবার জয়পুরে ছিলেন রাহুল গান্ধী। ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকদের বলেন, তিনি জানতেন ভারতীয় মিডিয়া তাঁকে অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং নিয়ে একটিও প্রশ্ন করবে না। কারণ সেখানে চিনা সেনারা ভারতীয় সেনাদের সীমান্ত পার করে এসে মারধর করে যাচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপি এই বিষয় নীরব। তারা সংসদেও এই বিষয়ে আলোচনা চায় না। কেন্দ্রীয় এই বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের মারধর করা হচ্ছে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ

কাশ্মীরে তুষারপাতের প্রভাবে আজ মরশুমের শীতলতম দিল কলকাতায়, আগামী ৫ দিন ঠান্ডা থাকবে

KIFF 2022: 'বুম্বা দা কেন পিছনের সারিতে?' মমতাকে আক্রমণে এবার অমিত মালব্যর তীর 'প্রসেনজিৎ'

সব সীমা অতিক্রম করেছেন রাহুল-চিন নিয়ে কংগ্রেস নেতার প্রশ্নে ক্ষুব্ধ বিজেপি