সংক্ষিপ্ত
এখন পর্যন্ত রিপাবলিক টিভির প্রকাশিত এক্সিট পোল অনুসারে, আসন ভাগ হিসেবে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের ঝুলিতে আসতে পারে ৯৪ থেকে ১০৮টি আসন।
কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আজ ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হল। এর মাধ্যমে রাজ্যের মানুষ ২২৪টি আসনে তাদের নতুন প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। জনগণ কাকে নির্বাচিত করেছে, তা জানা যাবে ১৩ মে। এর আগে নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই ঝড় তুলেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সবচেয়ে বড় তারকা প্রচারক ছিলেন। মোদি এখানে র্যালি, জনসভা এবং রোড শো সহ মোট ২৫টি নির্বাচনী কর্মসূচি পালন করেছেন। অন্যদিকে, অসুস্থ হয়েও কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন সোনিয়া গান্ধী, যা নিয়ে খোদ নরেন্দ্র মোদীও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।
২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ১১৩। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই ম্যাজিক ফিগারের গণ্ডি পার হতে গিয়েই ঘাম ঝরেছিল বিজেপি কংগ্রেস দুই রাজনৈতিক দলের। সংখ্যার খেলায় দুই দলই একে অপরকে টক্কর দেওয়ার মরিয়া প্রয়াস করেছিল। কংগ্রেস স্থানীয় সমস্যাগুলি তুলে ধরেছে এবং প্রাথমিকভাবে তার নির্বাচনী প্রচারের লাগাম ছিল স্থানীয় নেতাদের হাতে। যাইহোক, পরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে, দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী, পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রার মতো এর শীর্ষ নেতারাও নির্বাচনী প্রচারে যোগ দেন।
এখন পর্যন্ত রিপাবলিক টিভির প্রকাশিত এক্সিট পোল অনুসারে, আসন ভাগ হিসেবে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের ঝুলিতে আসতে পারে ৯৪ থেকে ১০৮টি আসন। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন বিজেপি পেতে পারে ৮৫-১০০টি আসন। সেক্ষেত্রে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হতে পারে কিং মেকার হতে চলা জেডিএসের। জেডিএস পেতে পারে ২৪ থেকে ৩২টি আসন। অন্যান্যরা পাবে ২-৬টি আসন-বলছে সমীক্ষা।
নির্বাচন কমিশনের মতে, কর্ণাটকে ৫.২১ কোটি ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ৯ লাখ ১৭ হাজার ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। পয়লা এপ্রিল, ২০২৩-এ যাদের বয়স ১৮ বছর হবে, তারাও ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সবার দৃষ্টি বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণের দিকে।
২০১৮ সালে কি পরিসংখ্যান ছিল
কর্ণাটকে সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১২ মে ২০১৮-এ। নির্বাচনে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হলেও কোনো দলই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপির ১০৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। কংগ্রেস ৭৮টি এবং জেডিএস ৩৭টি আসন পায়। একক বৃহত্তম দল হওয়ায়, বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা ১৭ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। তবে তিনি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি।