সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেসে কর্ণাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবেই রাজ করতে পারবে। আসন সংখ্যা ১৩৬। ভোট যুদ্ধে অনেক পিছিয়ে বিজেপি ও জেডিএস।

 

কর্ণাটকে নিরঙ্কুশ জয় পেল কংগ্রেস। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ১৩৬টি আসন। প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি পেয়েছে ৬৫টি আসন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে জনতা দল সেকুলার। তবে কুমারস্বামীর দলের দৌড় ১৯ আসনেই থেমে গিয়েছে। বাকিরা পেয়েছে ৪টি করে আসন। এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। প্রথম থেকেই কংগ্রেস এগিয়ে ছিল বিজেপির তুলনা। দিনের শেষে শেষ হাসি হাসল শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস।

 

 

এদিন কর্ণাটক জনমতের রায় সম্পূর্ণ বিজেপির বিরুদ্ধেই গিয়েছে। কারণ দলের ১৪ জন মন্ত্রী পরাজিত হয়েছে। তুলনায় কংগ্রেস বড় জয় পেল। কারণ ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। আর কর্ণাটকে মিলিঝুলি সরকার হবে না বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন গত ৩৫ বছর পরে তাঁরা কর্ণাটকে এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পেরেছেন। জনগণের চাহিদা পুরণ করাই হবে তাঁর মূল উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের বেঙ্গালুরু আসার নির্দেশ দিয়েছে। কে মুখ্য়মন্ত্রী হবে তাই নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ কংগ্রেস ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। একটি সূত্রের দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার হোক মুখ্যমন্ত্রী। অন্য গোষ্ঠীর দাবি আগের মতি সিদ্দারামাইয়াকেও মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। তাঁর ছেলেও এই দাবি জানিয়েছেন। সিদ্দারামাইয়া লিঙ্গায়েত নেতা। লিঙ্গায়েতদের কাছে টানারও একটি সুযোগ পাবে কংগ্রেস। তবে খাড়গে বলেছেন এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

আগেই দলের বিপর্যয়ের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই। তিনি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই হারের দায়িত্ব তাঁর। তিনি আরও বলেছেন হারের কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হবে। বোমাই কংগ্রেসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বলেন কংগ্রেস অনেক সংগঠিত দল হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করেছেন। নির্বাচনী কৌশল তাদের জয়ের অন্যতম কারণ। তিনি আরও বলেন, জনগণের রায় তিনি মাথাপেতে নিচ্ছেন।

কর্ণাটকে দলের হার নিয়ে রীতিমত হতাশ জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। তিনি বলেছেন তাঁর দল ছোট তাই কারও সঙ্গে যাবে না।