সংক্ষিপ্ত

কয়েক বছর আগে এক নাবালিকা কিশোরীকে দত্তক নিয়েছিলেন ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধ। সেই পালিত কন্যাকেই লাগাতার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।

 

পালিত কন্যাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ। বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে কেরলের আদালত ১০৯ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল। এখানেই শেষ নয়, বৃদ্ধকে ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা আনাদায়ে ধর্ষক বাবাকে অতিরিক্ত আরও তিন বছর জেল খাটতে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কেরলের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট।

কয়েক বছর আগে এক নাবালিকা কিশোরীকে দত্তক নিয়েছিলেন ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধ। সেই পালিত কন্যাকেই লাগাতার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। কেরল পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকা ও তার দুই ভাই রাস্তার ধারের একটি দোকানের বারান্দায় বসে ছিল। সেখান থেকে পুলিশ প্রথমে তাদের উদ্ধার করে। তারপর তুলে দেওয়া হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার প্যানেলের কাছে। নাবালিকা ও তাঁর দুই ভাইয়ের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চত করার উদ্দেশ্যে তাদের তিনজনকেই দত্তক দেওয়া হয়। সেই সময় এক বৃদ্ধ নাবালিকার দায়িত্ব নিতে রাজি হয়। এই ঘটনা ২০২১ সালের। অভিযোগ বৃদ্ধ তারপর থেকে লাগাতার টানা একবছর ধরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। তারপর ২০২২ সালে স্ত্রীর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের হাতে কিশোরীকে তুলে দেয়। তারপর আরও একটি পরিবার কিশোরীর দায়িত্ব তুলে নেয়। সেই সময়ই ওই কিশোরী নিজের নির্যাতনের কথা সংশ্লিষ্ট পরিবারকে জানান। তারপরই গোটা বিষয়টি সামনে আসে।

সংশ্লিষ্ট পরিবার নাবালিকাকে নিয়ে দিয়ে পান্ডাম থানায় অভিযোগদায়ের করে। নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে কেরলের একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা শুরু হয়। পকসো আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। তাতেই দোষী সাব্যস্ত হয় বৃদ্ধ।

আরও পড়ুনঃ

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ৪ দিনের জেল হেফাজত জ্যোতিপ্রিয়র, অসুস্থ মন্ত্রীর চিকিৎসার দাবি আইনজীবীর

২২ লক্ষ মাটির প্রদীপে সাজল অযোধ্যা, নতুন করে নাম তুলল গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে

'আপনারা যেখানে সেখানেই উৎসব আমার', মোদীর হিমাচলে দিওয়ালি সফর দেখুন ছবিতে