সংক্ষিপ্ত
নিজের সন্তানদের উপস্থিতিতে শাশুড়ির ওপর চরম নির্যাতন করতেন বউমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম ক্ষোভ।
৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধার ওপর অমানুষিক নির্যাতন! কেরালার কোল্লাম জেলার থেকুমভাগাম থানা এলাকা থেকে মঞ্জু থমাস নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, ধৃত মহিলা পেশায় একজন শিক্ষিকা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাশুড়ি লীলাম্মা-কে হত্যার চেষ্টা এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
-
অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই বৃদ্ধা মহিলার ওপর নির্যাতন করে আসছিল মঞ্জু থমাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পায় সেই ঘৃণ্য অত্যাচারের ভিডিও। যেখানে দেখা গেছে, নিজের সন্তানদের উপস্থিতিতেই শাশুড়িকে মেরে চেয়ার থেকে মেঝেতে ফেলে দিচ্ছেন তিনি। তার সঙ্গে চলছে অশ্রাব্য গালিগালাজ।
-
সূত্রের খবর, এই ফুটেজটি কয়েক মাস আগে রেকর্ড করেছিলেন লীলাম্মার ছেলে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন লীলাম্মা, গত মাসেও তাঁকে তাঁর পুত্রবধূ নির্মমভাবে মারধর করে। এর আগে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল, কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি নিজের একমাত্র ছেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে রাজি ছিলেন না।
এলাকার প্রশাসনিক সদস্য জি. প্রদীপ কুমারের মতে, এই কাণ্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও নির্যাতন অব্যাহত ছিল। তিনি বলেন, “চার মাস আগে মঞ্জুর হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার পরে লীলাম্মা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আমরা তাঁকে হাসপাতাল থেকে একটা হোমে স্থানান্তরিত করেছিলাম, কিন্তু পরে তিনি বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। গতকাল তাঁকে মেরে টেনেহিঁচড়ে কম্পাউন্ডের বাইরে নিয়ে গিয়ে বের করে দেওয়ার পর মঞ্জু গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। বাড়ির মালিক এবং পুলিশের সহায়তায় গেট খোলা হয়।"
পুলিশের মতে, যদিও আগে এই বিষয়ে কিছুটা জানা ছিল, তবে অপব্যবহারের ধরন সম্পর্কে কিছু জানা ছিল না। "ভিডিওটি তার ছেলের বন্ধুরা ফাঁস করেন এবং এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পরে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, এটা কেবল মৌখিক বিবাদ নয়। লীলাম্মা আগে কোনও দিনও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেননি।”
মঞ্জুর বিরুদ্ধে সিনিয়র সিটিজেন অ্যাক্টের ধারা নম্বর ২৪ সহ অ-জামিনযোগ্য অপরাধের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।