সংক্ষিপ্ত


আবারও বাড়ছে R- Factorএর মান। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। 
 

R- Factor(আর ফ্যাক্টর) -এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র বারবার সতর্ক করছে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত রাজ্যগুলিকে।তৃতীয় তরঙ্গের আগেই করোনাভাইরাসের আর ফ্যাক্টর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন চিকিৎসকরাও।  কিন্তু কী এই R- Factor? 

R- Factor
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের কথায় আর ফ্যাক্টর প্রজননের হারকে বোঝায়। একজন সংক্রমিত ব্যক্তি কতজন মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে সেই সংখ্যাটি তুলে ধরে আর ফ্যাক্টর।  বিশেষজ্ঞদের কথায় আর ফ্যাক্টরের মান যদি ১এর ওপর হয় তবে তার আর্থ হল একজন সংক্রমিত ব্যক্তি একের বেশি সংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে আর ফ্যাক্টরের মান বাড়ছে। তাতেই বোঝা যাচ্ছেন নতুন করে কোভিড ১৯এর সংক্রমণ বাড়ছে। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সতর্কতা 
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব অজয় ভাল্লা সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে আর ফ্যাক্টর বৃদ্ধির পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায় আর ফ্যাক্টর বৃদ্ধির ফল হতে পারে মারাত্মক। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছেন ১.০ উপরে আর ফ্যাক্টর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ছড়িয়ে পড়ার সূচক। আর তা বন্ধ করতে রাজ্যগুলিকে ভিড় কমাতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে বলা হয়েছে জনাকীর্ণ এলাকাগুলিতে যাতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ঠিকমত মানে চলা হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। 

হাইতির রাষ্ট্রপতি হত্যায় 'মূল ষড়যন্ত্রকারী' ইমানুয়েল, জানুন রহস্যময় এই ধর্মগুরুকে

বর্তমানে R- Factor
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে কেরল আর উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে আর ফ্যাক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে। জুনের শেষে আর ফ্যাক্টর ছিল ০.৮৮। আর মে-মাসে আর ফ্যাক্টরের হার ছিল ০.৭৮।

হামাগুড়ি দিয়ে বিদ্যুতের তার কাটতে গিয়ে বিপাকে যুবক, তাই দেখেই হাসির রোল নেটদুনিয়ায় 

দ্বিতীয় তরঙ্গে R- Factor
চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অব ম্যাথামেটিক্যাল সায়েন্সের অনুসন্ধান অনুসারে ৯ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত R- Factorএর হার ছিল ১.৩৭। ২৪ এপ্রিল থেকে সেই মান কমতে শুরু করেছিল। 

R- Factor রুখতে জরুরি 
লকডাউন আর লকডাউন মতো বিধিনিষেধগুলি এই মানটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। মানুষ যদি বাড়ির বাইরে না বার হয় তাহলে সংক্রমণ ছড়ানো অনেকটাই কম থাকে। এপ্রিলের শেষ  থেকে প্রায় গোটা দেশে কঠোর করোনাবিধি চালু করেছিল রাজ্যগুলি। সেই কারণে দ্বিতীয় তরঙ্গ যখন বাড়তে শুরু করলেও মে মাসে R- Factorএর মান অনেকটাই কম ছিল।

স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাতে বিনামূল্যে কন্ডোম দেবে সরকার, মানতে নারাজ অভিভাবকরা