সংক্ষিপ্ত

মুম্বইয়ে এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রাজনীতি, বলিউড ও অপরাধ জগতের সমীকরণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

বলিউড তারকা সলমন খান, কুখ্যাত অপরাধী দাউদ ইব্রাহিম ও অনুজ থাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার কারণেই কি খুন হয়েছেন বাবা সিদ্দিকি? লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্যের ফেসবুক পোস্টে এই জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই ফেসবুক পোস্টে সিদ্দিকির খুনের দায়স্বীকার করা হয়েছে। এই পোস্টে লেখা হয়েছে, 'ওঁ, জয় শ্রীরাম, জয় ভারত। আমি জীবনের রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণ বুঝি। আমি সম্পদ ও দেহকে শুধু ধুলো বলেই মনে করি। আমি শুধু সেটাই করেছি যা ঠিক। বন্ধুত্বের কর্তব্য করেছি।' শনিবার রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রা ওয়েস্টে নিজের দফতরের কাছেই খুন হয়েছেন সিদ্দিকি। এই ঘটনায় শুরু থেকেই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দিকে সন্দেহের তির ছিল। এবার ফেসবুক পোস্টে সেই সন্দেহ জোরদার হল।

সলমনকে ফের হুমকি

লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘সলমন খান, আমরা এই লড়াই চাইনি। কিন্তু তোমার জন্য আমাদের ভাইকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। বাবা সিদ্দিকি আজ ভদ্র হলেও, একসময় তিনি দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে মকোকা আইনে অভিযুক্ত ছিলেন। বলিউড, রাজনীতি ও বাড়ি-ফ্ল্যাট সংক্রান্ত লেনদেনে দাউদ ও অনুজ থাপানের সঙ্গে যোগ থাকার জন্যই খুন হয়েছেন সিদ্দিকি। আমাদের কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। কিন্তু কেউ যদি সলমন খান বা দাউদ গ্যাংকে সাহায্য করে, তাহলে তাকে তৈরি থাকতে হবে।’

তদন্তে মুম্বই পুলিশ

শনিবার রাতেই সিদ্দিকির খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। তবে এই খুনের পিছনে আসল মাথা কে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই সিদ্দিকিকে খুন করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই আততায়ীদের টাকা দেওয়া হয়েছিল। তাদের আগ্নেয়াস্ত্রও দেওয়া হয়েছিল।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

মুম্বইয়ে দশেরার রাতে এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন, গ্রেফতার ২

গুলিতে ঝাঁঝরা NCP নেতা বাবা সিদ্দিকি, রাতেই কাঁদতে কাঁদতে হাসপাতালে গেলেন সলমন খান

‘মৃত্যুর কোনও ভিসার প্রয়োজন নেই’, ফের লরেন্স বিষ্ণোই-র থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেলেন সলমন খান