সংক্ষিপ্ত

লোকসভা, রাজ্যসভা, বিধানসভা ও বিধান পরিষদের নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

 

লোকসভা নির্বাচনের মুখেই পদ ছাড়লেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। ইতিমধ্যেই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আরও দুই জন কমিশনার থাকেন। যার একটি পদ আগে থেকেই খালি ছিল। অরুণ গোয়েলের ইস্তফা দেওয়ায় সেখানে দুটি পদ শূন্য। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে দুই শূন্যপদ পুরণের পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্র সরকারের। সূত্রের খবর তারপরই নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বঃ

লোকসভা, রাজ্যসভা, বিধানসভা ও বিধান পরিষদের নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বচন কমিশনের কাজের মধ্যেই পড়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনার পাশাপাশি ভোটের ফল প্রকাশের দায়িত্বও কমিশনের ওপর। তিন নির্বাচন কমিশনারের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় ভোটের নির্ঘণ্ট।

নির্বাচন কমশনার নিয়োগের পদ্ধতি

গত বছর ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রদবদলের আইন আনে কেন্দ্র। সেই অনুযায়ী বর্তমানে নির্বাচন কমিটির সুপারিশে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। নতুন আইনে সরকারের সার্চ কমিটি পাঁচটি নাম জমা দেবে নির্বাচন কমিটির কাছে। তারই মধ্যে থেকে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার সমন্বয় গঠিক কমিটি একটি নাম বেছে নেবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ ৬ বছর বা ৬৫ বছর পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা

নির্বাচনের দিন ঘোষণা, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে লঙ্ঘন না হয় তার দিকে নজর দেওয়া। পাশাপাশি নির্বাচনী আচরণবিধি জারি থাকা পর্যন্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কমিশনের নির্দেশ মানতে বাধ্য।