এবারের লোকসভা নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাই বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার সরাসরি ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন।

‘কংগ্রেস প্রার্থীরা কম ভোট পেলেই বিদ্যুর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।’ ঠিক এই ভাষাতেই ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক রাজু কাগের বিরুদ্ধে। এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন এই কংগ্রেস বিধায়ক। এবার কর্ণাটকের বেলাগাভি জেলার কাগাবড়া তালুকের জুগুলা গ্রামে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজু। তিনি বলেছেন, ভোটাররা যদি এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীদের পক্ষে না থাকেন, তাহলে এর ফল ভুগতে হবে। যাঁরা কংগ্রেস প্রার্থীদের যথেষ্ট ভোট দেবেন না, তাঁদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিও। অনেকেই কংগ্রেস বিধায়কের এই আচরণের নিন্দা করছেন।

বারবার বিতর্কে কংগ্রেস বিধায়ক

এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক রাজু। উগারায় একটি আলোচনাসভায় তিনি দাবি করেন, কংগ্রেসের প্রতি দায়বদ্ধতা জরুরি। অন্য দলের প্রার্থীদের ভোট দিলে সংবিধানের অবনমাননা করা হবে এবং গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে বলেও দাবি করেন রাজু। অনেকেই দাবি করছেন, এভাবে ভোটারদের হুমকি দেওয়া এবং একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতে বাধ্য করার চেষ্টা সুস্থ গণতন্ত্রের পক্ষে কাম্য নয়। এর ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সততা এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রাজু শুধু গণতন্ত্রের নীতি লঙ্ঘন করছেন না, ভোটাররা যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে না পারেন, সেই চেষ্টাও করছেন। একজন জনপ্রতিনিধি এভাবে ভোটারদের হুমকি দিতে পারেন না। তিনি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।

Scroll to load tweet…

ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন?

নির্বাচনী নির্ঘণ্ঠ ঘোষণার পর কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন। এবার ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রাজুর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

রাম আর শিবকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য! মল্লিকার্জুন খড়গের কে তুমুল কটাক্ষ করল বিজেপির

Lok Sabha Election: আমেঠি আর রায়বরেলি নিয়ে দোলাচলে কংগ্রেস, কী বলেছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা

রাম মন্দির ও দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য বিভ্রান্তিকর, দাবি ট্রাস্ট্রের প্রধান চম্পত রাইয়ের