সংক্ষিপ্ত

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত বাংলায় বিজেপি-র পর্যবেক্ষক ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তবে তিনি এখন মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত। এই রাজ্যে মন্ত্রী হয়েছেন কৈলাস।

মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা খুন। শনিবার গভীর রাতে ইন্দোরে গুলি করে খুন করা হয়েছে এই বিজেপি নেতাকে। খুন হওয়া বিজেপি নেতার নাম মনু কল্যাণী। তিনি ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ইন্দোর শহরের সহ-সভাপতি ছিলেন। কৈলাস ও তাঁর ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয়র অত্যন্ত কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মনু। পুরনো শত্রুতার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। প্রাথমনিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পীযূষ ও অর্জুন নামে দুই যুবক গুলি করে খুন করেছে মনুকে। সন্দেহভাজন আততায়ীরা মনুর বাড়ির কাছেই থাকে। তারা এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কৈলাস। তিনি জানিয়েছেন, আততায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলের কাজ করার সময়ই খুন মনু

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইন্দোরের চিমান বাগ অঞ্চলে বিজেপি-র মিছিল উপলক্ষে ব্যানার ও পোস্টার লাগানোর কাজ করছিলেন মনু। সেই সময় বাইকে চড়ে দুই যুবক তাঁর দিকে এগিয়ে যায়। তারা মনুর ফোন নাম্বার চায়। তখন পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করেন মনু। সেই সময় দুই আততায়ীর একজন পিস্তল বের করে মনুর বুকে গুলি করে। এরপরেই তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মনুকে হাসপাতালে নিয়ে যান সঙ্গীরা। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

খুনের তদন্তে পুলিশ

গেরুয়া শিবিরের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন মনু। তিনি প্রায়ই মিছিল-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করতেন। সারা দেশের বিজেপি নেতারা এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। ফলে মনুর খুন হওয়া গেরুয়া শিবিরের পক্ষে বড় ধাক্কা। মনু যেখানে খুন হয়েছেন, সেই জায়গা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। মনুর বাড়ির বাইরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

থামছে না ভোট পরবর্তী হিংসা! চাপড়ায় খুন তৃণমূল কর্মী, অস্বীকার শাসক দলের

Vote Violence: ষষ্ঠ দফা ভোটের আগেই রক্তাক্ত বাংলা, তমলুকের মহিষাদলে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন

ভোটের আগে খুন বিজেপি কর্মী! চাঞ্চল্যকর ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়