সংক্ষিপ্ত
- শেষ যাত্রায়ও জাত-পাত
- উচ্চবর্ণের শ্মশানে প্রবেশাধিকার নেই
- বৃষ্টির মধ্যে দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে দলিত পরিবার
- হাত জোর করে কাতর মিনতি পরিবারের
সমাজে দলিতদের ওপর হওয়া নির্যাতনের খবর বারংবারই প্রকাশ্যে এসেছে। দিন কয়েক আগে তামিলনাড়ুতে একজন দলিতের মৃত্যুর পর তার মরদেহকে শ্মশানঘাটে সৎকার করতে না দেওয়ায় একটি সেতুর ওপর থেকে নদীর জলে ফেলে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। সম্প্রতি একজন স্কুল শিক্ষককে বাল্মীকি সম্প্রদায়ের তথাকথিত উচ্চবর্ণের শিক্ষকরা তাঁকে একই জলের পাত্র থেকে জলও খেতে দেননি!
এইধরণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল নেট দুনিয়ায়। কিন্তু তার পরেও ফের প্রকাশ্যে এল এমনই আর এক ঘটনা, যা শুনলে কার্যত অবাক হতেই হয়। তামিলনাড়ুর সুব্বালাপুরমের পেরিয়ায়ুর গ্রামে এক তথাকথিত উচ্চবর্ণদের শ্মশানে এক দলিতের মৃতদেহের সৎকার করার অনুমতি না পাওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে শবদেহ নিয়ে অপেক্ষা করল এক দলিত পরিবার।
জানা গিয়েছে, উচ্চবর্ণের জন্য ওই শ্মশানটিতে কংক্রিটের শব দাহ ব্যবস্থার সুযোগ থাকলেও। দলিতদের জন্য বরাদ্দ কেবলই একফালি জমি। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে এক দলিত ব্যক্তির মৃতদেহ দাহ করার জন্য উচ্চবর্ণদের শ্মশানটি ব্যবহার করার অনুমতি চায় ওই দলিত পরিবার। কিন্তু অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও অনুমতি না মেলায় অবশেষে মৃতদেহে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
দলিত হলেও তাঁরা হিন্দু, তবে কেন তাঁদের জন্য আলাদা শ্মশান ঘাট, সওয়াল হাইকোর্টের
চাঁদে নামতে তৈরি 'ল্যান্ডার বিক্রম', ছাড়াছাড়ি হল চন্দ্রযান ২-এর সঙ্গে, এরপর কী
পুঞ্চ-এ ফের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, দু'মাসে শহিদ ৬ ভারতীয় জওয়ান
কাবুলে ফের আত্মঘাতি বোমা হামলা, ঘটনার দায় স্বীকার তালিবান জঙ্গিদের
প্রসঙ্গত এর আগে মাদ্রাজ হাইকোর্ট-এর তরফে সওয়াল করা হয়েছিল, মন্দির-মসজিদ, হাসপাতাল বা যে-কোনও দফতরে যখন ধর্ম এবং জাতি নির্বিশেষে সকলের প্রবেশের অধিকার রয়েছে, সেখানে হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও কেন দলিতদের জন্য আলাদা শ্মশানঘাট তৈরি করা হবে রাজ্য সরকারকে এই ইস্যুটি ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট।