সংক্ষিপ্ত
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন ভারতকে জ্ঞানী মানুষের রাষ্ট্রি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে হবে।
ভারতকে জ্ঞানী মানুষের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসেব অনুষ্ঠানে এই বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি জয়পুরের কাছে জামডোলির কেশব বিদ্যাপীঠে সাধারণতন্ত্র দিবসেপ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবার দেশের মানুষকে চিন্তাভাবন করতে হবে। 'আমরা উদ্যাম আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক তেরঙ্গা উড়িয়ে দিই। আমাদের গন্তব্য সেই পতাকার মধ্যে। আমাদের ভারতকে বিশ্বের সবথেকে বড় দেশে পরিণত করতে হবে।'
জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, এটি চির জীবন আর যৌবনের প্রতীক। তিনি বলেন উদীয়মান সূর্যের রঙ কাজের প্রতীক। যা মানুষকে জাগ্রত হতে আর সক্রিয় হতে সাহায্য করে। তিনি বলেন দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে এই দেশের মানুষকে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের মানুষের প্রধানলক্ষ্য হবে জ্ঞান অর্জন। বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিরন্তণ পরিবর্তন করতে হবে নিজেদের। এই সংকল্প নিয়ে দেশের মানুষকে এগিয়ে যেতে হবে।
আরএসএস প্রধান বলেন, ত্যাগ আর জ্ঞান যে ব্যক্তির মধ্যে থাকে সে দিক নির্দেশন করতে পারে। কিন্তু কোনও একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে জ্ঞানের ব্যবহার সঠিক হয় না। যা বিতর্কের কারণ হয়ে ওঠে। শক্তি দুর্বলতায় পরিণত হয়। তিনি বলেন দেশের জাতীয় পতাকায় তিনটি রঙই হল এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক। তিনি বলেন সাদা রঙ প্রবিত্রতার প্রতীক। তিন জাতীয় পতাকার দ্বিতীয় রঙের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন 'আমাদের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ হতে হবে এবং যে ভিতর থেকে শুদ্ধ সে কখনই অন্যের মন্দ চায় না, সে সবসময় ভালো করতে চায়। অন্যের প্রতি তার অন্তরে কোনো বিচ্ছিন্নতা থাকে না। যারা উদার মন নিয়ে এগিয়ে যায়। , শুদ্ধ চিত্তে, ধার্মিক আচরণ করুন এবং সবাইকে আপন মনে করুন। আমাদের এভাবেই পবিত্র হতে হবে'।
ভাগবত আরও বলেন, দেশে সর্বদা সমৃদ্ধি আসবে, রুটি, কারড় আর বাসস্থানের কোনও সমস্যা হবে না। শিক্ষার অভাব হবে না। জাতীয় পতাকার তৃতীয় রঙ অর্থাৎ সবুজের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন। তিনি বলেন সবুজ স সমৃদ্ধি আর লক্ষ্মীর প্রতীক।
এদিন দিনি বলেন, সংবিধান উৎসর্ব করার সময় বিআর আম্বেদকর যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা প্রত্যেকের পড়া উচিৎ। তিনি বলেন এই ভাষণেই বলা রয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। একই সঙ্গে তিনি বিভেদ ভুলে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। পাশাপাশি শুদ্ধ চিত্তে ধার্মিক আচরণ পালনের কথাও বলেছেন। উদার মন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের মধ্যে 'বিষাক্ত ছবি', নিম্নবর্ণের বিয়ে রুখতে করতে বন্ধ করে দেওয়া হল মন্দির
Republic Day: দিল্লির কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজে প্রথম অংশগ্রহণ মিশরীয় সেনার ১৪৪ জন সদস্যের