সংক্ষিপ্ত
নিম্নবর্ণের মানুষের বিয়ে বন্ধ করতে বন্ধ করে দেওয়া হল মন্দির। কর্নাটকের এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের।
আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছে গোটা দেশ। দেখতে দেখতে প্রজাতন্ত্র দিবসের বয়সও হয়ে গেল ৭৪ বছর। প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি সকলেই জোর দিচ্ছেন ঐক্যবদ্ধ আর শক্তিশালী ভারত গঠনের জন্য। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকে ধরা পড়ল সম্পূর্ণ অন্যছবি। নিম্নবর্নের বিয়ে আটকাতে বন্ধ করে দেওয়া হল একটি মন্দির আর সংলগ্ন বাজার। মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের গদগ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে শ্যাগোটি গ্রামে। অস্পৃষ্যতার কারণে এই ঘটনা বলে অভিযোগ নিম্নবর্ণের বাসিন্দাদের।
পেশায় কৃষক শরণু মাদার। তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেবরা নামের প্রাক বিয়ের একটি অনুষ্ঠানের জন্য দিয়ামাভ মন্দিরে যাচ্ছিল। সেই সময়ই তারা দেখে যে মন্দির আর সংলগ্ন বাজার বন্ধ। পুরো নিঝুমপুরী গোটা এলাকা। পরিবারের অভিযোগ উচ্চ বর্ণের লোকেদের নির্দেশে বন্ধ করে দেওযা হয়েছে মন্দির আর সংলগ্ন বাজার। তাদের আরও অভিযোগ, রীতিমত ফতোয়া জারি করে বন্ধ করা হয়েছিল দোকান-মন্দির। আর উচ্চবর্ণের লোকেরা বলেছিল, তাদের মত নিম্নবর্নের লোকেদের পরিষেবা দিলে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হবে। এই ভয়েই স্থানীয়রা মন্দির আর দোকান বন্ধ রেখেছিল।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠানের সময় গদগের ডেপুটি কমিশনারের নজরে বিষয়টি আনা হয়েছিল । তারপরই তিনি তহসিলদারকে গ্রাম পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে সেই সময় কার্যকরী কোনও কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ায় আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। তবে এবার পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
যদিও শারনু পরিবারের সদস্য যখন জানতে চেয়েছিল হাঠাৎ করে কেন মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন স্থানীয় কোনও কারণ দেখাতে পারেনি। বলেছিল সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে মন্দির। তবে শারনু পরিবারের সদস্যরা তহসিলদারের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বলেছিল- সকাল থেকেই মন্দির খোলা ছিল। কিন্তু তারা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য মন্দিরে যাবে - এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মন্দির দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়। নববর শারনু বলেছে, তাঁর পরিবারের কোনও অনুষ্ঠান হলেই মন্দির আর দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। জরিমানা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর সেই কারণে গোটা এলাকায় অলিখিত বনধের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। তিনি আরও বলেছেন, অনেক সময় তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেও বাধা দেওয়া হয়।
গদগের তহসিলদার কিষাণ কালাল বলেন, প্রশাসন গ্রামে পুলিশ কর্মী মোতায়েন করেছে। সামাজিক সমতা সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। আর সেই কারণে স্থানীয় বাসিন্দা আধিকারিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের উপস্থিতিতেই মন্দির খোলা হয়েছিল। প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুনঃ
74th republic day parade: এক নজরে দেখুন দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দেশের অস্ত্রের সম্ভার
Republic Day: দিল্লির কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজে প্রথম অংশগ্রহ মিশরীয় সেনার ১৪৪ জন সদস্যের
প্রথমবার কর্তব্যপথে ২৬ জানুয়ারির প্যারেড, দেখুন প্রজাতন্ত্র দিসবের সেরা ১০টি পয়েন্ট