সংক্ষিপ্ত
বিরোধী দলে থাকাকালীন তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। তদন্তও হয়। কিন্তু তাঁরা বিজেপিতে তযোগ দেওয়ার পর সেই মামলাগুলির গতিপ্রকৃতি আর জানা যায়নি।
কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বাংলার মুখ্যন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের ৯ বিরোধী নেতার। তাঁদের অভিযোগ সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ইত্যাদি সংস্থার অপব্যবহার করছে কেন্দ্র। এই মর্মে আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি দিলেন তাঁরা। শুধু অপব্যবহারের অভিযোগই নয়, বিজেপিতে যোগদান করলে যাবতীয় অভিযোগ খারিজ হয় বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন নেতার নাম। যাঁরা বিরোধী দলে থাকাকালীন তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। তদন্তও হয়। কিন্তু তাঁরা বিজেপিতে তযোগ দেওয়ার পর সেই মামলাগুলির গতিপ্রকৃতি আর জানা যায়নি।
মূলত দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার গ্রেফতারির প্রতিবাদে এই চিঠি দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গেই উঠে এসেছে একাধিক বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তের কথা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের উদাহরণ দিয়ে লেখা হয়েছে,'বর্তমানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে এবং ২০১৫ সালে সারদা চিটফান্ড মামলায় তদন্ত করেছিল ইডি ও সিবিআই। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেই মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি।' চিঠিতে আরও লেখা হয় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। এর আগেই নারদাকাণ্ডে ইডি এবং সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ছিলেন তিনি। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই ছবিটা একেবারে পালটে যায়। একই ঘটনা ঘটে মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও।
এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া এই চিঠিতে সই করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) প্রধান চন্দ্রশেখর রাও, জম্মু এবং কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএনসি) প্রধান ফারুক আবদুল্লা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রধান শরদ পওয়ার, শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে এবং আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে তাঁদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। মোদীর কাছে তাঁদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক রাজনীতিকদের বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন। ঘটনাক্রমে তাঁরা প্রত্যেকেই বিরোধী দলের নেতা নেত্রী। কেন্দ্রীয় সংস্থার নিরপেক্ষতায় প্রশ্ন তুলে তাঁদের অভিযোগ, বিরোধী দলের কোনও নেতা নেত্রী যখনই বিজেপিতে যোগ দেয়, তাঁর বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন -
'কমপক্ষে একটা ছেলে তো শপথ নিয়েছে', চা-চক্রে কৌস্তভ বাগচীর প্রশংসা দিলীপ ঘোষের মুখে
দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে: এশিয়ানেট নিউজের অফিসে এসএফআই-এর হামলার বিরুদ্ধে সরব বিজেপি নেতা
টিপরা মোথাকে দলে টানতে মরিয়া বিজেপি, আলোচনার পথ খোলা বলে জানালেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা