প্রতিবছর ১৮ জুলাই থেকে ১২ অগস্ট পর্যন্ত উল্কাবৃষ্টি হয়। একে বলে সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিডস। গবেষকরা বলেছেন জুলাইয়ের শেষ দিনে এই উল্কাপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। 

রাতের আকাশে দেখা যাবে এক মহাজাগতিক দৃশ্য। তাও শুধুমাত্র এক জায়গা থেকে নয়। গোটা বিশ্বজুড়ে দেখা যাবে এই ছবি। অন্ধকার আকাশ থেকে ঝরে পড়বে উল্কা। যাকে সহজ ভাষায় বলা হয় উল্কাপাত বা তারা খসা। ২৯-৩০ জুলাই দুই রাত ধরে দেখা যাবে এই দুর্দান্ত দৃশ্য। অন্ধকার রাতে ঘণ্টায় ২৫টি উল্কাপাত হবেয এমনটাই জানিয়েছে লাইভ সায়েন্স-এর একটি প্রতিবেন।

প্রতিবছর ১৮ জুলাই থেকে ১২ অগস্ট পর্যন্ত উল্কাবৃষ্টি হয়। একে বলে সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিডস। গবেষকরা বলেছেন জুলাইয়ের শেষ দিনে এই উল্কাপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই সময় ঘণ্টায় ২০টিরও বেশি উল্কাপাত হয়। আজ ও আগামিকাল হবে সেই উল্কাপাত। ‘সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিড্‌স’-এর সঙ্গে এ বছর সক্রিয় হবে উল্কাবৃষ্টি ‘আলফা ক্যাপ্রিকরনিড্‌স’। তা থেকে ঘণ্টায় পাঁচ থেকে ১০টি উল্কাপাত হবে। এই দুইয়ে মিলেই ঘণ্টায় গড়ে ২৫টি উল্কাপাত হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।

উত্তর ও দক্ষিণ দুই গোলার্ধেই দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। দক্ষিণ গোলার্ধে বেশি সুন্দর ভাবে দেখা যাবে এই দৃশ্য। কারণ দক্ষিণ গোলার্ধের কাছেই সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিডস। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, উত্তর গোলার্ধে বসবাসকারীরা ৩০ জুলাই, বুধবার ভোরের আগে দক্ষিণ আকাশে নজর রাখলে এই উল্কাবৃষ্টি ভাল করে দেখতে পাবেন। ভারত উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। তাই ভারতের সব জায়গা থেকেও ওই সময়ে আকাশে এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। এ বছর আকাশে চাঁদ থাকবে না বলে অনেক স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে এই উল্কাবৃষ্টি। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে একটু সমস্যা হতে পারে। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, দূষণমুক্ত কোনও অন্ধকার জায়গা থেকে দক্ষিণ আকাশে তাকালে এই উল্কাবৃষ্টি ভাল করে দেখা যাবে।

‘সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিড্‌স’ আসলে ধূমকেতু ৯৬পি/মাছোলজ়ের অংশ। ১৯৮৬ সালে এটি আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। প্রতি ৫.৩ বছরে এক বার এই ধূমকেতু সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। সেই প্রদক্ষিণের সময় বেশ কিছু খণ্ডিত অংশ সে কক্ষপথে ফেলে যায়