সংক্ষিপ্ত

বিজেপি নিজের হাতেই রাখতে চাইছে স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা, বহিরাগত বিষয়, সড়ক পরিবহন, রেলওয়ে, আইটি এবং শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব।

 

রবিবার সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ করবেন নরেন্দ্র মোদী। তবে তার আগেই নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় ক্যাবিনেট নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। কারণ এই প্রথম জোট সরকারের নেতৃত্ব রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর হাতে। এর আগেও এনডিএ সরকার গঠন হলেও সেখানে বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল। এবার বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে। তাই শরিকদের চাহিদা বা দর কষাকষিও সামলাতে হচ্ছে। সূত্রের খবর চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল টিডিপি আর নীতিশ কুমারের দল জে়ডিইউ আগে থেকেই চারটি পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব চেয়ে রেখেছে।

বিজেপি সূত্রের খবর শরিকদের দর কষাকষির মধ্যেও বিজেপি নিজের হাতেই রাখতে চাইছে স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা, বহিরাগত বিষয়, সড়ক পরিবহন, রেলওয়ে, আইটি এবং শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব। তবে রেলর দাবি আগেই জানিয়ে রেখেছেন নীতিশ কুমার। অন্যদিকে প্রযুক্তি বা আইটি মন্ত্রকের দায়িত্বও চেয়েছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। সূত্রের খবর রেল বিজেপি নিজের দায়িত্বে রেখে আদিবাসী মন্ত্রক শরিকদের হাতে তুলে দিতে পারে। বিজেপি সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পাচ্ছেন চন্দ্রবাবুর চার ও নীতিশ কুমারের দলের দুই সাংসদ।

শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, তিনি মন্ত্রক বন্টনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। রবিবার মোদীর সঙ্গে কমপক্ষে তিরিশ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ-বাক্য পাঠ করবেন। বিজেপি সূত্রের খবর নির্বাচনে বিজেপির ১৯ জন মন্ত্রী হেরেছেন। তবে এবার বিজেপি নতুনদের মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিতে চায়। তবে হেরে যাওয়া স্মৃতি ইরানি, অর্জুন মুণ্ডা, আরকে সিংকে রাজ্যসভায় নিয়ে যেতে পারে বিজেপি। সেখান থেকেই পরবর্তীকালে মন্ত্রী করা হতে পারে।

তবে মন্ত্রিত্ব বন্টনে এবার নরেন্দ্র মোদীর গলার কাঁটা হয়ে রয়েছেন দুই শরিক নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নায়ডু। দুই নেতাই দরকষাকষিতে নাজেহাল করে দিচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের।