সংক্ষিপ্ত
অমিত মালব্য টুইট করে বলেছিলেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য খুবই খারাপ চিহ্ন। যখন একজন অত্যান্ত সাধারণ একজন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্টের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের পর অস্বস্তিতে পড়েছেন। রাজ্যসভার সাংসদের পরিবারও 'চোরের দল তৃণমূল' ছাড়তে বলেছে
দল বিরোধী মন্তব্যের পর রাজ্যরাজনীতিতে রীতিমত প্রাসঙ্গিক প্রাক্তন আমলা জওহর সরকার। প্রথমে 'দলের একটা অংশ পচে গিয়েছে, এই পচা অংশ নিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিশেষ কিছু করা যাবে না' -এতটাই কঠোর মন্তব্য করেছিলেন জওহর সরকার। তারপর থেকেই তাঁকে পাল্টা নিশানা করতে শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা। তিনি লক্ষ্য হলে বিজেপি নেতা অমিত মালব্যেরও। তবে হাতে হাত গুটিয়ে বসে নেই জওহর সরকার। তিনিও পাল্টা নিশানা করেন অমিত মালব্যকে। টুইটের পাল্টা টুইট করে তিনি বলেন শুধু তৃণমূল নয়। তাঁর আক্রমণের নিশানায় নিজের দলের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ বিজেপিও রয়েছে। তিনি বলেন রাজনৈতিক দলগুলির দুর্নীতির বিরুদ্ধেই তিনি মুখ খুলেছেন।
অমিত মালব্যের পাল্টা জওহর সরকারের টুইট
অমিত মালব্য টুইট করে বলেছিলেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য খুবই খারাপ চিহ্ন। যখন একজন অত্যান্ত সাধারণ একজন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্টের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের পর অস্বস্তিতে পড়েছেন। রাজ্যসভার সাংসদের পরিবারও 'চোরের দল তৃণমূল' ছাড়তে বলেছে। এরই পাল্টা হিসেবে জওহর সরকার টুইট করে সরাসরি অমিত মালব্যকে ট্যাগ করে বলেন, 'আমি একটি ঘটনার কথা বলেছি। আমি তৃণমূল বিজেপি সবকটি দলের দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলেছি।' তিনি আরও প্রশ্ন তুলে দেন, তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে তিনি তাঁর নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু বিজেপিতে থেকে কেউ কি এটা পারে? বিজেপির কেউকি সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলতে পারেন। তারপরই তিনি বলেন তৃণমূলেরটা হল খুচরো দুর্নীতি আর বিজেপিরটা হল কর্পোরেট দুর্নীতি।
তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ
জওহর সরকারকে নিয়ে দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কিছুই বলেননি। কিন্তু মুখ খুলেছেন সৌগত রায় ও তাপস রায়। সৌগত রায় তাঁকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্য়াগ করতে বলেছেন। পাসাপাশি স্বার্থপর বলেও কটাক্ষকরেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তিনি আরও বলেছেন এজাতীয় আমলারা নাকি এমনটাই হয়। দলের জন্য কোনও দিন প্রাক্তন আমলা কিছু করেনি বলেও অভিযোগ তাঁর। অন্যদিকে তাপস রায়ও জওহর সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, 'উনি সম্মাব বাড়ানোর জন্য রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। চাইলে পদ ছেড়ে দিতে পারেন'। এমনটাও দাবি করেছেন। পাশাপাশি তাপস রায় জানিয়েছেন, উনি জওহর সরকারের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। -এটা ভাবতেই তাঁর লজ্জা লাগছে।
আগ্রাসী নদী ভাঙন 'গিলে খেল' ১০ মাসের শিশু সন্তানকে, কশী নদীর তীর জুড়ে শুধুই হাহাকার
'ক্ষমতা থাকলে সাংসদ পদ ও সুবিধে ছেড়ে দেখান', জওহর সরকারকে চ্যালেঞ্জ সৌগত রায়ের
বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আসন থাকবে ফাঁকা, ব্লকে একাই বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা