ভারী বৃষ্টির সতর্কতা: বর্ষার প্রত্যাবর্তনে আবহাওয়ায় আবার চাঞ্চল্য। সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত উত্তর ভারত এবং কিছু পূর্ব ও মধ্যপ্রদেশের অঞ্চলে নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

ভারী বৃষ্টির সতর্কতা: বর্ষা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির রুদ্ররূপ দেখা যাবে। গুজরাট ও রাজস্থানের বেশিরভাগ এলাকা থেকে শুষ্ক পশ্চিমা বায়ুর কারণে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। হরিয়ানা ও পাঞ্জাবেও আবহাওয়া শুষ্ক হতে শুরু করেছে। শীঘ্রই দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের সমভূমি থেকেও বর্ষা বিদায় নেবে। তবে, বর্ষা বিদায় নিলেও উত্তর ভারতের অনেক অংশে বৃষ্টির প্রত্যাবর্তন সম্ভব। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে, যা এগিয়ে গিয়ে বৃষ্টি আনতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন নিম্নচাপ

২৫ সেপ্টেম্বরের আশেপাশে বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। এটি কয়েক দিনের মধ্যে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যার ফলে এই রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সিস্টেমের প্রভাবে পশ্চিমা বায়ু পিছু হটবে এবং বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের সমতল অঞ্চলেও মাসের শেষ নাগাদ বৃষ্টি ফিরে আসতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলির আবহাওয়া এখন শুষ্ক থাকবে। হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলেও, স্বাভাবিকের চেয়ে কম আর্দ্রতার কারণে বৃষ্টি কম হবে। উত্তরাখণ্ডে হালকা বৃষ্টি চলতে থাকবে, অন্যদিকে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দিল্লি থেকে বর্ষা পুরোপুরি বিদায় নিতে চলেছে।

পাহাড়ি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে

১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৮% বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সব জায়গায় সমান বৃষ্টি হয়নি। কিছু এলাকায় বেশি এবং কিছু এলাকায় কম বৃষ্টি হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম, মধ্য এবং দক্ষিণ উপদ্বীপীয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যেখানে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে প্রায় ১৮% কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজ্য অনুযায়ী দেখলে, উত্তরপ্রদেশে গড়ে ৬৯৫.৬ মিমি বৃষ্টি হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৪% কম। বিহারে গড়ে ১,০২৯ মিমি বৃষ্টি হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২% বেশি, তবে বেশিরভাগ বৃষ্টিই বর্ষার শেষ পর্যায়ে হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে ১,২৯৯ মিমি, পাঞ্জাবে ৩৭% বেশি, এবং হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশে ৩০-৪০% বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।