সংক্ষিপ্ত
প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে ১২৪৮ এর আপ মেইন লাইনের সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। টেকঅফ করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি একটি লুপ লাইনে প্রবেশ করে।
ওড়িশার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১১০০ জনেরও বেশি। এদিকে, বালেশ্বরে তিনটি ট্রেনের দুর্ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। তেমনই সুপারিশ করেছে ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড। এখনও পর্যন্ত ট্রেন লাইন পরিষ্কার না হওয়ায় একের পর এক ট্রেন বাতিল হয়ে চলেছে। ফলে ক্রমশ যাত্রী অসন্তোষ বাড়ছে ।
কোন কোন ট্রেন এখনও পর্যন্ত বাতিল করেছে ভারতীয় রেল। অর্থাৎ সোমবার চলবে না এই ট্রেনগুলি
২২২০১ শিয়ালদহ পুরী এক্সপ্রেস
১২৮৩৮ পুরী হাওড়া এক্সপ্রেস
১৮০৩৮ জাজপুর-কেওনঝাড় রোড-খড়্গপুর এক্সপ্রেস
১৮০৪৪ ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস
২২৮৫৬ তিরুপতি-সাঁতরাগাছি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস
০৮৪১১ বালেশ্বর-ভুবনেশ্বর এক্সপ্রেস
০৮৪১৫ জলেশ্বর-পুরী এক্সপ্রেস
২২৬০৫ পুরুলিয়া-ভিল্লুপুরম এক্সপ্রেস
২২৮৯০ পুরী দিঘা এক্সপ্রেস
পুরী – জলেশ্বর মেমু
পুরী – বাংরিপসি সুপারফাস্ট
খড়গপুর-খুরদা রোড এক্সপ্রেস
ভুবনেশ্বর-বালাসর মেমু
পুরী-হাওড়া সুপারফাস্ট
পুরী – নন্দনকানন এক্সপ্রেস
পুরী-শালিমার এক্সপ্রেস
যাত্রাপথ পরিবর্তন কোন কোন ট্রেনের
০৩২২৯ নম্বর পুরী-পটনা স্পেশ্যাল ট্রেন জাকাপুরা-জারৌলি রুটে চলছে।
চেন্নাই থেকে চেড়ে আসা ১২৮৪০ নম্বর চেন্নাই-হাওড়া মেলের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। ট্রেন জাকাপুরা-জারৌলি রুটে চলছে।
১৮০৪৮ নম্বর ভাস্কো-দা-গামা-হাওড়া অমরাবতী এক্সপ্রেস জাকাপুরা-জারৌলি রুটে চলছে।
সেকেন্দ্রাবাদ থেকে ছেড়ে আসা ২২৮৫০ সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস জাকাপুরা-জারৌলি রুটে চলছে।
প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে ১২৪৮ এর আপ মেইন লাইনের সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। টেকঅফ করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি একটি লুপ লাইনে প্রবেশ করে। আপ লুপ লাইনে আগে থেকেই মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। সেটিকে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়। এই দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ১২৮৬ ডাউন অর্থাৎ যশবন্তপুর এক্সপ্রেস মেইন লাইনে চলে আসে। করমণ্ডলের দুটি লাইনচ্যুত বগিকে ধাক্কা মেরে সেটির পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রিপোর্টে বলা হয়ে মালগা়ড়ির সঙ্গে ধাক্কায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি কারমা লাইনচ্যুত হয়। কামরাগুলি যে ট্র্যাকে পড়েছিল সেখান দিয়েই যায় যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। তাতেই দুর্ঘটনা মারাত্মক আকার নেয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। আর যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের গতি ছিল ১১৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট রেলওয়ে বোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন প্রশাসনিক তথ্য বিবেচনা করে রেলওয়ে বোর্ড পুরো ঘটনাটি আরও ভাল করে খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন দুর্ঘটনার মূল কারণ আর মূল অপরাধীদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।