সংক্ষিপ্ত
করোনা আক্রান্ত মায়ের কষ্টের গল্প
মুম্বইয়ের বাসিন্দা মা
এক বাড়িতে থেকেও কাছে পাননা মেয়ে
মায়ের কাঁদে মেয়ে
প্রথম দিন যখন যখন জানতে পেরেছিলেন তিনি করোনা আক্রান্ত্র তখন তাঁর প্রশ্নই ছিল কেমন আছে মেয়ে। ১৭ মাসের কন্যা সন্তানের জননী তিনি। বাণিজ্য নগরি মুম্বইয়ের বাসিন্দা আলিফা জাভেরি। তাঁর দুঃখের গল্পেই চোখের জলে ভিজছে সোশ্যাল মিডিয়া।
আলিফা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সামান্যতম লক্ষণ রয়েছে তাঁর শরীরে। তাই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকা। এই পরিস্থিততে মেয়ে সর্বদা চোখের সামনে দেখতে পাবেন বলে প্রথম কিছুটা স্বস্তিতে ছিলেন তিনি। কয়েক দিন পরেই উপলব্ধি করেন যে সন্তানকে ছেড়ে থাকা মোটেও সোজা কথা নয়। সন্তানে চোখে দেখাই যথেষ্
নয় মায়ের কাছে। তাকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা খুবই পীড়াদায়ক। হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার মাত্র ৬ দিনের মাথায় একটি সামাজিক মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, এটা খুবই কষ্টকর।
লকডাউনের কেরলে অন্য ছবি, ফাঁকা নৌকায় সওয়ার এক পরীক্ষার্থী
করোনা যুদ্ধের দিশারী কেরল, এবার আরও ৪ রাজ্যের সঙ্গে লকডাউন পরবর্তী আর্থিক পুনরুদ্ধারের নেতৃত্বে ...
করোনার কারণে ফ্রান্স থেকে রাফাল হাতে পেতে কোনও সমস্যা হবে না , জানালেন রাজনাথ সিং ...
আক্রান্ত মহিলা আরও জানিয়েছেন, তাঁর শিশু সন্তানও তাঁকে ছেড়ে থাকতে চাইত না। প্রতিদিন সকালে সে বিছানার সামনে জালনায় তার ছোট্ট ছোট্ট হাত দিয়ে আওয়াজ করতে থাকে। আক্রান্ত মহিলা আরও জানিয়েছেন তাঁর কাছে আসার জন্য নিরন্তন চেষ্টা চালান তিনি। প্রায় দিনই রাত দুটো নাগাদ তাঁর সন্তানের ঘুম ভেঙে যায়। আর তাঁকে পাশে না পেয়ে কেঁদে ওঠে। তখন পাশের ঘরে তিনিও চোখের জল ফেলেন। এমন একদিনও কাটে না যখন তিনি তাঁর চোখের জল না ফেলে ঘুমাতে গেছে। পাশাপাশি আক্রান্ত মহিলা জানিয়েছেন স্বামী ও ননদ সন্তানের জন্য যথেষ্টই করছে। কিন্তু মায়ের মন মানতে নারাজ।
আক্রান্ত মহিলার কষ্টের কাহিনী নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। অনেকই তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন।