সংক্ষিপ্ত

একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী ভিডিও রিল ভাইরাল হওয়ার পর, ক্ষুব্ধ হিন্দুরা অভিযুক্ত মুসলিম যুবককে পাকড়াও করে এবং তাকে নগ্ন করে ব্যাপক মারধর করে।

ওঁ লেখা গেরুয়া ধ্বজ নিয়ে বিচ্ছন্নতাবাদি রিল বানানোর ফলে বড়সড় বিপদে পড়তে হল তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডির বাসিন্দা আবদুল নামের এক মুসলিম যুবককে। হিন্দু ধর্ম ও হিন্দুত্বের ধ্বজাকে অপমান করে বানানো তার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় । তারপরেই তার ওপরে মর্মান্তিক আক্রমণ চালায় ক্ষিপ্ত হিন্দুত্ববাদীরা। 


ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে একটি গেরুয়া ধ্বজ দেখিয়ে উক্ত যুবককে বলতে শোনা গেছে, ‘তুমহারি অওকাত হামারা প্যায়রো কি ধুল (তোমার মর্যাদা আমাদের পায়ের ধুলো)। সালা মুসলমান হ্যায়, এ মৎ ভুল (আমরা মুসলমান, একথা ভুলো না) । মুসলমান হ্যায় মহান হস্তি, সালা সামান ঘুসের দেতে হ্যায় জবরদস্তি ।’ এই কথা বলে অভিযুক্ত যুবককে গেরুয়া ধ্বজটি নিজের প্যান্টের মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে দেখা যায়। 


এরপর ধ্বজাটি ফের বের করে তাকে বলতে শোনা যায়,  ’সমঝ গয়া জানি ? সমঝা পানি ।’ এরপর ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকা ‘হাম বাপ হ্যায় তুমহারে, তুম বেটে হো হামারে, হামসে ডরা করো’ গানের তালে তাকে অঙ্গভঙ্গি করে নাচতে দেখা যায় ।

-

এই রিলটি ভাইরাল হওয়ার পর, ক্ষুব্ধ হিন্দুরা অভিযুক্ত মুসলিম যুবক আবদুলকে পাকড়াও করে এবং তাকে নগ্ন করে ব্যাপক মারধর করে। উলঙ্গ অবস্থাতেই তাকে গোটা গ্রাম ঘুরিয়ে পালটা ভিডিও রেকর্ড করে গ্রামবাসীরা । আবদুলকে গ্রাম ঘোরানোর সময় একজন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী আগুন জ্বেলে তার যৌনাঙ্গেও ছ্যাঁকা দেয় । যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে আক্রান্ত যুবক ।

এই ঘটনায় পুলিশ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের মধ্যে ওই মুসলিম যুবকও আছে। তার বিরুদ্ধে আইপিসির ১৫৩(এ),২৯৫-এ,৫০৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা করেছে। পাশাপাশি, মুসলিম যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে মারধরের পর রিল তৈরি করা লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশ আইপিসি ৩৪১, ৩২৩,৫০৫(২) এবং ৫০৬ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।