সংক্ষিপ্ত
গোটা বিশ্ব জুড়ে চিকিৎসকদের শপথের একই প্রথা চলে আসছে। গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটসের নামেই গ্রহণ করা হয় এই শপথ। তবে কেন দীর্ঘ দিনের এই প্রথা বদলানোর প্রয়োজন হল, তা স্পষ্ট নয়।
চিকিৎসদরে শপথ (Doctors Oath), দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা এই প্রথা ঘিরে এরা জল্পনা তুঙ্গে। নাম বদলের প্রস্তাব সামনে উঠে আসাতেই শুরু নানান মত বিরোধের পালা। হিপোক্রেটিক ওথ (Hippocratic Oath), এরই নাম বদল করে কি হতে চলেছে চরক শপথ! সোমবার এই মর্মেই এক প্রাথমিক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commision)। এদিন এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে (Vertual Meeting) দগোটা দেশের মেডিক্যাল কলেজের (Medical College) সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। সেদিনই আলোচনা প্রসঙ্গে উঠে আসে এই বিষয়টি। এই নিয়ে শুরু হয় জল ঘোলা। কারণ নাম পরিবর্তনের কী প্রয়োজন তা স্পষ্ট নয়। এই নিয়ে একাধিক মেডিক্যাল কলেজে উঠছে নানান প্রশ্ন। এখানেই শেষ নয়, কেনই বা চিকিৎসকদের শপথকে করা হচ্ছে ‘গৈরিকীকরণ’ তা ঘিরেও শুরু হয় জল্পনা।
গোটা বিশ্ব জুড়ে চিকিৎসকদের শপথের একই প্রথা চলে আসছে। গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটসের নামেই গ্রহণ করা হয় এই শপথ। তবে কেন দীর্ঘ দিনের এই প্রথা বদলানোর প্রয়োজন হল, তা স্পষ্ট নয়। বিশ্বের দরবারে যা সকলে গ্রহণে করে আসছে, তা আজ হঠাৎ ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে বদলে ফেলার সিদ্ধান্তে সহমত নন অনেকেই। তাঁদের মনে প্রশ্ন, হঠাৎ কেনই বা চরশ নামে এই শপথকে পাল্টে ফেলা হচ্ছে। প্রসঙ্গত প্রাচীন ভারতের চিকিৎসার ‘জনক’ বলে পরিচিত মহর্ষি চরক। তাই হিপোক্রেটের পরিবর্তে চরকের নাম ব্যবহারের প্রস্তাব উঠেছে।
আরও পড়ুন- ‘ইউনিফর্ম শুধু স্কুলে ব্যবহার হত, কলেজে নয়’, হিজাব মামলায় সওয়াল আইনজীবীর
আরও পড়ুন- মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের তারিখে পরিবর্তন, নয়া ঘোষণা কমিশনের
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াইয়ে আপ-বিজেপির, কেমন ছিল ২০১৭ সালের পঞ্জাব বিধানসভার ফল
এই নিয়ে প্রথমসারির এক সংবাদ মাধ্যমকে ইন্ডিয়ান মেকিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি ও চিকিৎসক শান্তনু সেন জানান,‘‘শপথের নাম বদলের প্রস্তাব শোনার পর,নিজে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের সদস্য হিসাবে চেয়ারম্যানেকে ফোন করেছিলাম , কিন্ত তিনি নিজেও এ ব্যাপারটা সঠিকভাবে জানেন না। খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তবে শোনা যাচ্ছে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে এ রকম একটা সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ উঠেছে। তাঁকে আমি ফোন করেছিলাম কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তাই আদেও এটা সত্য কি না তা যতক্ষণ না পুরোপুরি জানতে পারছি, কিছু বলা ঠিক হবে না।’’ ডাক্তারি পাঠক্রমে ‘হিপোক্রেটিক ওথ’ বাতিল করে চরকের শপথ চালু করার প্রস্তাবের প্রতিবাদ করেছে রাজ্যের সার্ভিস ডাক্টর’স ফোরামও।