সংক্ষিপ্ত

  • পরীক্ষার্থীরা চাইছে পরীক্ষা দিতে
  • দাবি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর 
  • ইতিমধ্যেই ১৭ লক্ষ অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড হয়েছে 
  • দাবি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর 
     

মহামারি আবহে ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে চাইছেন না, বিরোধীদের এই দাবি উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। তিনি বলেছেন ইতিমধ্যেই নিট ও জেইই পরীক্ষার জন্য ১৭ লক্ষ অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করা হয়েছে। আর এটি প্রমান করে যে পরীক্ষার্থীরা যে কোনও মূল্য নিট ও জেইই পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। 

ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে রীতিমত উত্তাল দেশ। একাংশের দাবি করোনা আবহে আপাতত পরীক্ষা স্থগিত রাখা। আর এই দাবিতে  সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি নিট ও জেইই পরীক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্যার কথা বিবেচনা করে নিট ও জেইই পরীক্ষা স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়। এই পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এদিন বলেন যে জাতীয় পরীক্ষা সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে জানান হয়েছে নিট -এর জন্য ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষ অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করেছেন পরীক্ষার্থীরা। জেইই মেইন পরীক্ষার জন্য প্রায় ১০ লক্ষ অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করা হয়েছে। তা  থেকে এটাই দেখা যায় যে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। 

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন যে তাঁকে অনেক পড়ুয়া ও শিক্ষার্থীরাই তাঁর দফতরে  মেল করেছিল। আর সেই মেলের মূল কথাই হল প্রবেশিকা পরীক্ষা যেন বাতিল করা না হয়। দুই থেকে তিন বছর ধরে অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই পরীক্ষা বাতিল হলে তাঁদের মনোবল ভেঙে যাবে বলেও অনেক পড়ুয়া লিখেছিলেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নিট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আগামী ১-৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেইই মেইন পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেইই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮.৫৮ লক্ষ। আর ১৫.৯৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী নিটের জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। 

মহামারি আবহেই নিট ও জেইই পরীক্ষায় করোনা স্বাস্থ্যবিধিতে জোর, প্রকাশ একগুচ্ছ নিয়মনীতি ...

নিট-জেইই পরীক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ১৫০ শিক্ষাবিদের, ইতিমধ্যে ৬ লক্ষ অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড ...
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এই ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রবেশিকা পরীক্ষা এর আগে আরও দুবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবারও পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।